প্রকাশিত : ৩ জুলাই, ২০২০ ২৩:০৪

বগুড়ায় যমুনার পানি কমেছে ৭ সেন্টিমিটার

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় যমুনার পানি 
কমেছে ৭ সেন্টিমিটার

বগুড়ায় লক ডাউন শীতল করার পর থেকে শহরের যানজট বেড়েছে প্রচুর। এর সাথে একমুখি পথ করে দেয়ায় এই যানজট আরো বেড়েছে। এই যানজটের মধ্যে রোগীবাহি এ্যাম্বুলেন্স, আইনশৃঙ্খলা বহিনীর গাড়ী, প্রাইভেটসহ রিক্সা ভ্যানও পড়ছে। গত কয়েকদিন ধরেই হরের বড়গোলায় থেকে সাতমাথামুখি সড়কটি যানজট লেগেই থাকছে। এর সাথে চকযাদু ক্রসলেনে (১নং রেলঘুমটি) সড়কটিতে কখনই ফাকা থাকে না। সার্বক্ষনিক জানজটে থাকে। ট্রেন চলে যাওয়ার পরেও যানজট লেগে থাকে।

করোনা ভাইরাসের কারণে শহরের কোন কোন সড়ক এক মুখি করা হয়েছে। কিন্তু এই মুখি সড়ক মাঝে মাঝে থাকছে না। যে কারণে ইচ্ছেমত যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। জানাযায়, বগুড়া শহরের বগুড়ায় বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পানি কমেছে ৭ সেন্টিমিটার। পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নত হয়নি। বগুড়ায় সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার বিকালে পানি কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলায় এখনো নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। তিন উপজেলায় পানি স্থির হয়ে আছে।

বগুড়া জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, জেলার তিনটি উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। তিনটি উপজেলার ৮৮ টি গ্রাম এখনও পানির নিচে ডুবে আছে। ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে ১২ টি গ্রামে যমুনার বন্যার পানি উঠেছে। এই ইউনিয়নের আউশ ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে পানি বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতি হয়ে আছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম জানান উপজেলার একটি পৌরসভা সহ ১২টি ইউনিয়নে বাসিন্দারা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে চর এলাকার ৬টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পানি বন্ধি অবস্থায় রয়েছে। বন্যায় আক্রান্তদের জন্য ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ২১টি নল কুপ, ২৭টি সেনিটারি ল্যট্রিন বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৩৫০ পরিবারের মাঝে জন প্রতি ১০ কেজি করে জিআর চাল, ১৫০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যায় আক্রান্তদের জন্য ১০০ মেট্রিক টন জি আর চাল জি আর এর ২০ লক্ষ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ৫০০টি তাবু চাহিদা পাঠানো হয়েছে। 

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাহবুবুর রহমান জানান, শুক্রবার গত কয়েকদিনে যত দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ততটা দ্রুত পানি কমছে না। তবে এপর্যন্ত প্রায় ৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। শুক্রবার বিকালে পানি কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বন্যায় আক্রান্ত ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে হাটশেরপুর, চালুয়াবাড়ি, কাজলা, কর্ণিবাড়ি, বোহাইল, কামালপুর, চন্দনবাইশা, কুতুবপুর, সদর, নারচী, ফুলবাড়ী, ভেলাবাড়ি ও সারিয়াকান্দি পৌরসভা। এসব ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৪৫০ টি পরিবারের ৫৬ হাজার ২০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে