প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২০ ২১:৪০

নন্দীগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা, দেড়লাখ টাকা ছিনতাই

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা
নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধি:
নন্দীগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা, দেড়লাখ টাকা ছিনতাই

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার গুলিয়া বাজারে হত্যা মামলার আসামি সহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উপদ্রব, দেড়লাখ টাকা ছিনতাই সহ ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা, বসতবাড়িতে হামলা করে নারীকে পিটিয়ে আহত এবং শ্লীলতাহানি করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক রাইচমিল ব্যবসায়ী। গতকাল রোববার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গুলিয়া বাজারের আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল করিম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, আমি স্থানীয় রাইচমিল ব্যবসায়ী। গুলিয়া বাজারে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলার আসামি স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উপদ্রব বেড়েছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ মাদকের আখড়া গড়ে তুলেছে। গুলিয়া বাজারের ইউনুস আলীর ছেলে তানসেন ও মকবুল হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে একই এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে বাইজিদ এবং নওগাঁর রানী নগর থানার তালিমপুর এলাকার মৃত সাদ আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দফায় দফায় আমার ওপর হামলার চেষ্টা সহ বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা করে চলেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আব্দুল করিম আরও অভিযোগ করেন, গত ৩ জুলাই জুম’আর নামাজেরপূর্বে আমার রাইচমিল থেকে দেড়লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরব, এমন সময় ধারালো রামদা সহ সন্ত্রাসী তানসেন, খায়রুল, বাইজিদ ও বাচ্চু এসে আমাকে বেধরক মারপিট শুরু করে দেড়লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং হুমকি দিয়ে বলে, তোর সাথে কি হবে, তুই নিজেও জানিস! এরআগেও তো মানুষ মেরেছি, কি বা- হয়েছে! জানিস না? তখন আমি চিৎকার করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা আমাকে অপহরণের চেষ্টা করে। আমি প্রাণভয়ে দৌড়ে গুলিয়া বাজারের পাশে আমার বোনের বাড়িতে প্রবেশ করি। সন্ত্রাসীরা আমার বোনের বসতবাড়িতেও হামলা করে আমাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এসময় আমার বোন জোবেদা বেগম আমাকে বাঁচানোর চেষ্টায় এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা আমার বোনকে বেধরক মারপিট এবং শ্লীতাহানিরও চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীদের মারপিটে আমার বোন অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

আমার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। আমার বোনকে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের দাপটে এবং ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা স্থানীয় লোকজন। ঘটনার পর থেকেই সন্ত্রাসীরা বাজারে এসে দফায় দফায় হুমকি দিয়ে বলে বেড়াচ্ছে, থানায় গেলে নাকি পুলিশও মামলা নেবে না। থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। পরিবার সহ আমি ও আমার বোনের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা এই সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই এবং ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার সহ বসতবাড়িতে হামলা ও আমার বোনের ওপর হামলার বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একরাম আলী ও মাসুদুর রহমান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে