প্রকাশিত : ৬ জুলাই, ২০২০ ১৭:৩২

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হস্তক্ষেপে মা ফিরে পেল নতুন প্রাণ এবং একটি পুত্র সন্তান

ষ্টাফ রিপোর্টার
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হস্তক্ষেপে মা ফিরে পেল নতুন প্রাণ এবং একটি পুত্র সন্তান

গত ০৩ জুলাই শুক্রবার রাত্রি ১০.০০ ঘটিকায় সময় জনৈকা রানী বেগম (২৫), (স্বামী মাসুদ রানা, সাং-বুড়িরভাগ, থানা-নলডাংগা, জেলা-নাটোর) তার গৃহ স্বামীর সহিত রাগ করে তার বাবার বাড়ি পঞ্চগড় যাওয়ার পথে রংপুর বাস টার্মিনালে বাসটি পৌঁছিলে তার প্রচন্ড প্রসব বেদনা শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনসাধারণ তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ গেটে পৌঁছে দিলে তথায় দায়িত্বরত এটিএসআই/ মোঃ আপেল মাহমুদ (বেতার কলসাইন-রোমিও ট্যাংগো-৩) উক্ত রানী বেগম কে দেখতে পেয়ে দ্রুত অফিসার ইনচার্জ, কোতয়ালী থানাকে ওয়ারলেস সেটে অবগত করেন এবং অফিসার ইনচার্জ, কোতয়ালী থানার নির্দেশে রানী বেগম কে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করান। পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালী থানা রংপুর মেডিকেলে স্ব-শরীরে এসে রানী বেগমের খোঁজ খবর নেন, কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের সাথে কথা বলেন এবং রোগী সুচিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অতঃপর ০৪ জুলাই শনিবার সকাল আনুমানিক ০৯ ঘটিকায় আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে কোন রকম সমস্যা ছাড়াই রানী বেগম একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন।

এরপর প্রসুতির জরুরী রক্তের প্রয়োজন হলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে কর্মরত নায়েক মোঃ নয়ন হোসেন, কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন, কনস্টেবল সিদ্দিক, কনস্টেবল সুমন হোসেন এবং কনস্টেবল রকিবদের মধ্য হতে দুই জন সদস্য প্রসুতিকে স্বেচ্ছায় দুই ব্যাগ রক্ত দেয় এবং বাকী সদস্যগণ তথায় উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ আনয়নে সহযোগিতা করেন। এরপর রানী বেগমের স্বামী মাসুদ রানাকে খবর দিলে সে এসে তার স্ত্রী রানী বেগম ও পুত্র সন্তানকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। স্বামী মাসুদ রানা বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় তার স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরে পেয়েছে। পুলিশ না থাকলে হয়ত আমার পরিবারকে ফিরে পেতাম না। অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় এবং রানী বেগম কে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরবর্তিতে তার পরিবারের অনুরোধে অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালী থানা শিশুটির “ছিদরাতুল মুনতাহা” নাম রাখেন এবং শিশুটির মা তার সন্তানকে “চিশতী” নামে অভিহিত করেন। বর্তমানে রানী বেগমের ছেলের নাম ছিদরাতুল মুনতাহা চিশতী। গতকাল ০৫ জুলাই রবিবার রানী বেগমের বাবার বাড়ী পঞ্চগড়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সঙ্গে দেয়া হয় যাওয়ার ভাড়াসহ হাতখরচ। মেট্রোপলিটন পুলিশের এই উদ্যোগকে সকলে স্বাগত জানিয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে