প্রকাশিত : ৯ জুলাই, ২০২০ ২৩:৪৪

বগুড়া টিএমএসএসে করোনা রোগীদের সুস্থতা বাড়ছে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া টিএমএসএসে করোনা
রোগীদের সুস্থতা বাড়ছে

বগুড়ায় প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ চিকিৎসায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল ৮ মার্চ থেকেই করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়। হাসপাতালে স্বতন্ত্র আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন, জনবল প্রশিক্ষণ, সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৮টি ওয়ার্ডের ৪৩টি কেবিনসহ ১৬০টি শয্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে ১৭ তলায় ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ ১০ বেডের একটি আইসিইউ ইউনিট কার্যকর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালটি সফলতা পেয়েছে।

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের গৃহীত পদক্ষেপ কার্যক্রম এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ’র লেকচার গ্যালারীতে অনুষ্ঠত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম (অশোকা ফেলো এন্ড পিএইচএফ)। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বগুড়াসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার মধ্যে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ কোভিট-১৯ চিকিৎসায় নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল হিসেবে আস্থা অর্জন করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং অন্যান্য রোগীদের সেবা দিতে সবসময় প্রস্তুতি নিয়ে আছে। এই হাসপাতালে একদল দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হাসপাতালে সকল রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে টিএমএসএস গ্রান্ড হেলথ সেক্টরের নির্বাহী উপদেষ্টা (গবেষণা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যপক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল জানান, ৭ জুলাই পর্যন্ত টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিট ওয়ার্ডে মোট ৩৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ২০৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে বর্তমানে ৮৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থতার হার ৯৩.৭ শতাংশ। আর এই হাসপাতালে মারা গেছে ১৪ জন। মৃত্যুহার ৬.৩%। ৮জনকে ভেন্টিলেটর সর্পোট দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। ৮জনই এখন স্বাভাবিক ভাবে শ^াস নিচ্ছে।

করোনা যুদ্ধে নেমে হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের নিয়ে দলগতভাবে কাজ করে এই হাসপাতালের চিকিৎসা উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি বলেন, কোভিট-১৯ চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত প্রমানিত কোনো ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত হয়নি। তবুও আমরা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের বিশ^ স্বাস্থ সংস্থা, দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও নিজেদের কিছু গাইডলাইন নিয়ে আমরা কাজ করে এই সফলতা পেয়েছি। রোগীকে ডায়েট এবং কাউন্সিলিং প্রদান করা হয়। ৬০ জন চিকিৎসক, দেড়শতাধিক নার্স, আরটিপিআর ল্যাবে ৩২ জন এবং দেড়শথাধিক লজিস্টিক সেবা প্রদানকারী কোভিড-১৯ আ্রকান্তদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টিএমএসএস এর উপ নির্বাহী পরিচালক (২) রোটা: ডা: মো: মতিউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মো: শাজাহান আলী সরকার, মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা: একেএম মাসুদুর রহমান, টিএমএসএস’র হেলথ সেক্টরের ডোমেইন ডা: আব্দুল হক, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের পরিচালক ডা: এএসএম বরকতুল্লাহ। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে