প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২০ ২২:২৭

শাজাহানপুরে হাটবাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
শাজাহানপুরে হাটবাজারে অতিরিক্ত
খাজনা আদায়ের অভিযোগ

বগুড়ার শাজাহানপুরে হাটবাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নির্বিকার প্রসাশন। বার বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে অভিযোগ দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা । ইজারাদারদের যাতাকলে পৃষ্ঠ ক্রেতা বিক্রেতা।শাজাহানপুর উপজেলায় ২২টি হাটবাজার আছে। ইতিমধ্যে হাটবাজার গুলির ইজারা হাত বদল হয়েছে কয়েক দফা। হাটবাজার গুলিতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নিকট থেকে খাজনা আদায় করছে। ওমরদীঘি হাটে প্রতি বস্তার খাজনা বা টেল নেওয়া হচ্ছে ২৩টাকা থেকে ২৮টাকা। ক্রেতার নিকট থেকে ১৮টাকা বিক্রতার নিকট থেকে কখনও ৫টাকা আবার কখনও ১০টাকা । মাঝিড়া বাজারে প্রতি দোকানদার থেকে প্রতিদিন ৫০টাকা থেকে ১০০ খজনা আদায় করছে। এক ব্যবসায়ী জানায় দোকান খুললেও ৪০টাকা না খুললেও ৪০টাকা খাজনা দিতে হচ্ছে। দুবলাগাড়ী হাটে প্রতি দোকান থেকে ১৩০ টাকা থেকে ১৪০টাকা খজনা নেওয়া হচ্ছে। আবার হাট ইজারা হয়নি সেখানেও বীর দর্পে খাজনা  আদায় হচ্ছে। অভিযোগ দিয়েও লাভ হচ্ছেনা ।

উপজেলার হাটবাজারে খাজনা আদায়ের চাট টানানোর নিয়ম থাকলেও  ২২টি হাটবাজারের একটিতে এই নেয়োম মানা হচ্ছে না, ইজারাদারের ইচ্ছা মত খাজনা আদায় করছে। দুবলাগাড়ী হাটে প্রতিটি ছাগল ,ভেড়া, খাসির খাজনা ১০০টাকা নেওয়ার কথা কিন্ত  ২৫০টাকা থেকে ৩০০টাকা পর্যন্ত খাজনা আদায় করছে। দুবলাগাড়ী হাটে সাজু নামে এক জন ছাগল ক্রেতা সাংবাদিককে জানায় আমার থেকে ২৫০টাকা খাজনা নিয়েছে। এলাকা বাসীর প্রশ্ন উপজেলায় এ অরাজোকতা আর কত দিন চলবে।  এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মাহমুদা পারভীন জানান,  লিখিত অভিযোগ পেলে  প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে