নন্দীগ্রামে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততার মাঝেও চরম হতাশার চিত্র
![নন্দীগ্রামে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততার মাঝেও চরম হতাশার চিত্র](./assets/news_images/2020/07/28/CB20072807.jpg)
মুসলমানদের অন্যতম র্ধমীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। আর এই ঈদুল আযহা মানে চারিদিকে বিরাজমান দা ছুরির ঝনঝন শব্দ। মহান আল্লাহ তা’লাকে রাজি-খুশি করার জন্য মুসলমানরা সাধারণত ঈদুল আযহায় পশু কোরবানি করে থাকেন। আর কোরবানি পশু জবাই ও মাংস টুকরো করার জন্য দা ছুরী অপরিহার্য। আর এই দা ছুরী তৈরি করে কামারশিল্পীরা। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে করোনার কারনে হতাশার মাঝে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নন্দীগ্রামের কামারশিল্পীরা। অন্য বছর গুলোতে দম ফেলবার ও যেন ফুসরত ছিলনা তাদের, এই বার করোনাকালে হয়েছে তাদের ভিন্ন পরিস্তিতি আগের তুলনায় কাজ নেই। তারপরও দিন রাত টুং টাং শব্দ আসছে কামার দোকান থেকে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় নন্দীগ্রাম থানার বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, চাকু,বটি, ধামাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছে কামাররা। এসব ব্যবহার্য জিনিস স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে পাইকারী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো আগুনে পুড়ে দা, চাকু,বটি,দামাসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরী করছে কামাররা। বর্তমান করোনার প্রভাবে কামার শীল্পের র্দুদিন চললেও পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প।
দা ছুরিতে শান দিতে আনা মো: রাজু আহমেদ বলেন, কদিন পর কামাররা আরো ব্যস্থ হয়ে পড়বে, তাই দা ছুরিতে শান দেয়ার জন্য একটু তারাতারি নিয়ে অসলাম। রণবাঘা বাজার এর কামার শিল্পী আবুল কালাম বলেন, এক সময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই। মেশিনের সাহায্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরী হচ্ছে ফলে আমাদের তৈরী যন্ত্রাদির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হারাচ্ছে। হয়ত বা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না। ধুন্দার বাজারের কামারশিল্পী নিতাই কুমার বলেন আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই কাজ করে আসছে সারা বছর তেমন কাজ হয়না কোরবানি আসলে আমাদের ভালো কাজ হয়। এই বার করোনার কারনে মানুষের কাছে টাকা কম তাই আমাদের কাজও কম হচ্ছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন