বগুড়ায় যমুনায় পানি কমছে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
![বগুড়ায় যমুনায় পানি কমছে
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত](./assets/news_images/2020/07/28/bogura1.jpg)
বগুড়ায় তৃতীয় দফায় বন্যার পানি মঙ্গলবার সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার কর্মকর্তরা বলছেন সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমে এখন ৯৮ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে বিপদসীমার ১১৪ সেন্টিমিটারের উপরেও প্রবাহিত হয়েছিল। এখস পানি কমায়র সংবাদে বানভাসিদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তিভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার, সকাল ৮ টায় বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা গ্রোয়েন বাধ এলাকা, ফিস পাস সুইসগেট এলাকা, বাধের বিভিন্ন অংশ ও হাওড়াখালী এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া, এসি ল্যান্ড দেওয়ান আকরামুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দিসহ যমুনা তীরবর্তী সোনাতলা, ও ধুনট উপজেলার প্রায় ৩২ হাজার ৩৪২ পরিবারের ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
প্রবল বর্ষণও উজানের ঢলে বগুড়ায় যমুনা ও বাঙালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। এখনো মানুষ পানিবন্দি হয়ে জীচবন যানপন করছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি কমতে শুরু করেছে।বগুড়া জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজহার আলী মন্ডল জানান, বগুড়ার তিনটি উপজেলায় পৌরসভাসহ ১৯ ইউনিয়নের ১৬২ টি গ্রাম এখনও পানির নিচে রয়েছে। পাট, আউশ, আমনের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত প্রায় ৯ হাজার হেক্টর পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণসামগ্রী বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন