কালাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে সাত বিঘা জমির ধান নষ্ট
জয়পুরহাটের কালাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাত বিঘা জমির ধান বিনষ্ট করেছে প্রতিপক্ষরা। উপজেলার উত্তর-পাকুরিয়া গ্রামের পশ্চিম মাঠে মেসি (ইঞ্জিন চালিত ট্রাকটর) দিয়ে এ ধান গাছ বিনষ্ট করায় সোমবার কালাই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর-পাকুরিয়া গ্রামের কাথাইল গোপিনাথপুর মৌজার সি এস ক্ষতিয়ান নং-১৩, এম আর আর নং-১৪, হাল দাগ নং- ৩৯, ৪০ এবং ৪৫ দাগে সাত বিঘা (২৩০ শতাংশ) জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলমান আছে।
এ বিষয়ে উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের আয়মদ্দিনের স্ত্রী হামিদা খাতুন বাদী হয়ে উপজেলার উত্তর-পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল বারীকের ছেলে বুলুমিয়া দিংদের বিবাদী করে জয়পুরহাট জেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করে। মামলা নং- ১৭৪/৭৩। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে হামিদা খাতুনের পক্ষে রায় ও ডিগ্রি হয়। এর প্রেক্ষিতে বিবাদীরা আপীল করলে, আদালতে তা না মঞ্জুর হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিবাদীরা প্রায় ৪০ দিন আগে বাদীর লাগানো উপরের বর্ণিত সাত বিঘা জমির ধান গাছ রাতের আঁধারে মেসি দিয়ে নষ্ট করে। এ ঘটনায় হামিদা খাতুনের ছেলে আফজাল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ওসমান আলী ও হামিদা খাতুন জানান, ওয়ারিশন ও আদালতে চলমান একটি মামলার আদেশে ডিগ্রিমূলে সত্ত্ববান থাকা অবস্থায় তারা প্রায় ৪০ দিন আগে তাদের ২৩০ শতাংশ জমিতে রোপা আমন ধানের চারা লাগায়। ইতোমধ্যে সেগুলো মোটা ও তরতাজা হয়ে ওঠে। কিন্তু সম্প্রতি একটি মামলায় তাদের প্রতিপক্ষ বুলুমিয়া দিংরা পরাজিত হয়ে আদালতে আপীল করলে শুনানী শেষে তা না মঞ্জুর হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে, রোববার দিবাগত রাতে, প্রতিপক্ষরা তাদের সেই সাত বিঘা জমির ধানগাছ মেসির সাহায্যে দিয়ে চাষ সম্পূর্ণ নষ্ট করে। এতে তাদের অন্তত এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।আনীত অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে বুলু মিয়া বলেন, ‘কার ধান কি হয়েছে ভাই, কার ধান কি হয়েছে; আমি ওটা বলা (বলতে) পারিনা।’এ বিষয়ে কালাই থানার ওসি সেলিম মালিক জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।