গাবতলীতে ভাবীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার বিচার চাওয়ায় প্রতিপক্ষের হাতে দেবর খুন
বগুড়ার গাবতলীতে ভাবীর শ্লীলতাহানির চেষ্টায় জড়িত স্কুল ছাত্রের বিচার চাওয়ায় ওই ছাত্রের বাবার হাতে দেবর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান সাড়ে ৭টায় উপজেলার সুখানপুকুর এলাকার পাড়কাকড়া ভাঙ্গিরপাড়া (হিন্দুপাড়া) গ্রামে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর পরিবার ও একাধিকসূত্র জানায়, উল্লেখিত গ্রামের অনিল চন্দ্রের ছেলে অটোচালক উজ্জল চন্দ্র গতকাল ভোরে অটো নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। এই সুযোগে একই গ্রামের এনামুল প্রামানিকের ছেলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র রিফাত হোসেন (১৭) হঠাৎ ওই অটোচালক উজ্জ্বলের ঘরে প্রবেশ করে।
এরপর উজ্জ্বলের বউ শিউলী রানী (২৮)কে পেছন থেকে জোরপূর্বক জাপটে ধরে। তখন শিউলী চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং রিফাতকে একটি ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে প্রায় আদা ঘন্টা পর রিফাতের বাবা এনামুল ঘটনাস্থলে পৌছে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শিউলীর দেবর অমৃত চন্দ্র রায় (৩০) তাতে বাঁধা দেয় এবং বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রিফাতকে নিয়ে যেতে দেয়া হবে না। তখন রিফাতের বাবা এমানুল ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কবির্তকের একপর্যায়ে অমৃত এর গলা পেচিয়ে ধরে বুকে-পাজরে সজোরে আঘাত করে।
এতে অমৃত মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এনামুল ছেলেকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অমৃতকে উদ্ধার করে একটি পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষনা করা হয়। অমৃত চন্দ্র রায় বগুড়ার সাবগ্রামে অবস্থিত সাসা প্রোল্ট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারীর একজন দক্ষ কর্মচারী ছিলেন। তবে রিফাত কেন মায়ের বয়সী শিউলীকে জড়িয়ে ধরতে গেল তার কোন সুস্পষ্ট কারণ জানা যায়নি।
খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন ঘটনাস্থল পরিদর্শর করেছেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন