প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০২০ ২০:০৯

রায়গঞ্জে নির্মানকাজে বাঁধাসৃষ্টি ও চাঁদা দাবীর ঘটনায় থানায় অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোর্টার
রায়গঞ্জে নির্মানকাজে বাঁধাসৃষ্টি ও চাঁদা দাবীর ঘটনায় থানায় অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জের ধানগড়া এলাকায় চলমান নির্মানকাজে বাঁধাসৃষ্টি ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের নামে খাজনা-খারিজ ও ভোগদখলকৃত সম্পত্তিতে পৌরসভার প্ল্যানমাফিক নির্মানকাজে বিভিন্ন সময় বাঁধাসৃষ্টি ও চাঁদা দাবী করে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে আসছেন দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় গত রবিবার (৯আগষ্ট) রাতে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো: নাজমুছ সাকিব।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, রায়গঞ্জের ধানগড়া এলাকার নুরনবী সরকারের ছেলে মো: নাজমুছ সাকিব ধানগড়া মৌজার জেএল নং ১২৬, খারিজি খতিয়ান নং ৬৯২ ও দাগ নং ৪২৬, ৪২৭, ৪২৫ থেকে সর্বমোট ৭.৭৫ শতক জায়গা তার পিতার নিকট হইতে প্রাপ্ত হয়ে গত ২৩ মার্চ ২০১৫ ইং তারিখে সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয় থেকে নিজ নামে খাজনা খারিজ পরিশোধ করে ভোগদখল করে আসছেন। এরপর উক্ত সম্পত্তির উপর পাকা স্থাপনা নির্মানের নিমিত্তে পৌরসভার কার্যালয় থেকে প্ল্যান অনুমোদনের মাধ্যমে নির্মান কাজ শুরু করেন এবং কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

ইতিমধ্যে প্রায় ১৫০০ স্কয়ার ফিট আর সিসি ছাদসহ নির্মান কাজ সম্পন্ন করায় মার্কেট হিসেবে ভাড়াটিয়া স্থাপনের মাধ্যমে নিয়মিত ভাড়া গ্রহন করে আসছেন। ঠিক এমন সময় ধানগড়া স্কুল পাড়া এলাকার মো: আব্দুল আওয়ালের পুত্র ও কন্যা যথাক্রমে- মো: ফারুক হোসেন (৩৮), মো: আলম(৪২), মোছা: আলেয়া বেগম(৪৮), মোছা: অজিরন বেগম(৪৫) সহ একাধিক লোকজন বিভিন্ন সময় নাজমুছ সাকিবের নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (৩আগষ্ট) সকাল ১০টার সময় উক্ত বিবাদিগন নিজেদের হাতে বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাজমুছ সাকিবের নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করেন এবং কর্মরত শ্রমীকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

এরপর লোক মারফত সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে নাজমুছ সাকিব পৌছলে বিবাদি মো: ফারুক হোসেন ও মো: আলম কাজ বন্ধ রাখতে বলেন এবং দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। নাজমুছ সাকিব চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদিগন তাকে জীবননাশের হুমকি দেন এবং উক্ত সম্পত্তি দখলের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এসময় নাজমুছ সাকিবের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদিগন স্থান ত্যাগ করেন।

এঘটনায় মো: তাইজুল ইসলাম, মোছা: শাপলা, মো: মিলন হোসেনসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানেন বলে জানা গেছে। এমতাবস্থায় যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে নাজমুছ সাকিব মো: ফারুক হোসেন (৩৮), মো: আলম(৪২) সহ মোট ২১ জন ও অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে বিবাদি করে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ ঘটনায় রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদুল ইসলাম জানান, জায়গা জমির বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না, তবে যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে অবশ্যই আইনানুসারে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে