প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০২০ ২১:০০

জয়পুরহাটে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মষ্টমী পালিত

জয়পুরহাট ব্যুরোঃ
জয়পুরহাটে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মষ্টমী পালিত

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে জয়পুরহাটে পালিত হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৬তম শুভ জন্মাষ্টমী। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে দিবসের প্রারম্ভে সূর্যোদয়ের পূর্বে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে প্রার্থণা করা হয়। এরপর শুরু হয় জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা এ্যাডঃ নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি। এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জয়পুরহাট জেলা শাখা ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় কেন্দ্রীয় শিব মন্দির চত্ত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পূজা উদযাপন পরিষদ জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. হৃষিকেশ সরকার এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সুমন কুমার সাহার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির পিপিএম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায়, সমাজ সেবক ও হিন্দু ধর্মীয় নেতা বাবু নন্দলাল পার্শী, পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা এ্যাড. নন্দকিশোর আগারওয়ালা, সাবেক সভাপতি শ্যামল সাহা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঠাকুরসহ সনাতন ধর্মালম্বীদের নেতৃবৃন্দ।

এসময় বক্তারা বলেন, জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী একটি সনাতন ধর্মীয় উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন দেবকি ও বাসুদেব এর সন্তান, হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তাঁর জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় সর্বত্র অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। সে সময়ে মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। সর্বত্র ছিল অশুভ শক্তির বিস্তার।  শ্রীকৃষ্ণের মামা কংস ছিলেন তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু।

মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সাথে সাথে সেই রাতে তাঁর বাবা বাসুদেব তাঁকে যমুনা নদী পার করে গোকুলে পালক মাতা পিতা যশোদা ও নন্দর কাছে রেখে আসেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব নানাভাবে উদযাপন করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তিকে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে দোলনায় সাজানো হয়। তারপর উপাসক মন্ডলী নিজেদের মধ্যে খাদ্য ও মিষ্টান্ন বিনিময় করে উপবাস ভঙ্গ করেন। গৃহস্ত মহিলারা বাড়ির বিভিন্ন দরজার বাহিরে রান্নাঘরে শ্রী কৃষ্ণের পদচিহ্ন এঁকে দেন যা শ্রীকৃষ্ণের যাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকামতে, সৌরভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে