প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২০ ২২:৪৭

জলঢাকায় উপজেলা ড্রেন ও সড়ক কাজের পরিদর্শনে জাইকা

আল ইকরাম বিপ্লব, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
জলঢাকায় উপজেলা ড্রেন ও সড়ক কাজের পরিদর্শনে জাইকা

নীলফামারীর জলঢাকা জিরো পয়েন্ট মোড় হতে উপজেলা কমপ্লেক্স হয়ে আউলিয়াখানার দোলা পর্যন্ত ড্রেন এবং রাস্তা নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করলেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার প্রতিনিধি দলটি কাজের মান পরিদর্শনে এলে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হন। এসময় তারা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খায়রুল কবীর রানার্স কন্সট্রাকশন এ কাজটি করছে। যার প্রাক্কালিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১৩ শত মিটার দৈর্ঘ্য ড্রেন। রাস্তার দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২২ মিটার এবং প্রস্থ ১৩ ফিট। ড্রেনের সঙ্গে নির্মান করা হবে ফুটপাত ও ইউনিব্লোক।

যুবলীগ নেতা সাইফুর রহমান পিকু বলেন, জলঢাকার প্রাণ কেন্দ্র উপজেলা সড়কটি সংস্কার ও ড্রেন নির্মান কাজ ধীরগতিতে ও অনিয়মের সৃষ্ট দুর্ভোগের কারন হবে জনগণ। রাস্তার পাশে অবস্থানরত ডেনাইট ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী মতিউর রহমান জানান, ড্রেনের কাজ শুরু থেকে শেষ হয়ে গেলেও ইঞ্জিনিয়ার বা জাইকার প্রতিনিধি দলের কাউকে আদৌও চোখে পড়েনি। উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি হাসানুর রহমান হাসান জানায়, এ কাজটির মান নিয়ে সকলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পরিপত্র অনুযায়ী যেখানে বালু এবং খোয়ার অনুপাত থাকবে সমানে সমান। সেখানে বালুর পরিমাণ বেশি দিয়ে খোয়ার পরিমান দিয়েছে কম।

ডাব্লিউবিএমডিসি তে খোয়ার সাইজ হবে ৪ ইঞ্চি। সেখানে গোটাল গোটাল ইট ফেলে রোলার দিয়ে ডলতে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পানি যাওয়ার ফুটো (গ্রেটিং) রাস্তা থেকে দেড় ইঞ্চি নিচে থাকার কথা কিন্তু বাস্তবে কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফিট উঁচুতেও এ গ্রেটিং এর অবস্থান রয়েছে? পৌরসভার প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান বলেন,গ্রেটিং গুলোতে যে ভিড্রেন করা হয়েছে। সেখানে সলিং করা হবে হাফ মিটার। পানি আটকানোর কোন মানেই হয় না। যেখানে উচু গ্রেটিং রয়েছে সেটা কেটে ফিনিশিং করা হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, এ কাজ এমন নিম্নমানের হয়েছে যে ছয়মাসে ঠিকবে কী না সন্দেহ? জাইকার টাকা লুটপাট হচ্ছে।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এ কাজ নিয়ে? জাইকা (নবিদেপ) দিনাজপুর প্রতিনিধি দলের প্রধান আবাসিক প্রকৌশলী নুর আলম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, কাজ করতে গেলে কিছু ত্রুটি থাকে। তবে কোন ত্রুটি পায়নি। যে সব জায়গায় বেশি করে বালি ফেলেছে সেখান থেকে বালিগুলো সড়িয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিজাইন ও প্রোফেশন অনুযায়ী কাজ করেছি। যারা মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তা ভিত্তিহীন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে