প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২০ ২৩:১৫

বগুড়া প্রেসক্লাবে সরওয়ার খানের সংবাদ সম্মেলন

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া প্রেসক্লাবে সরওয়ার
খানের সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী এম, সরওয়ার খান বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ২৬ আগস্ট বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিমের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানান। 

সরওয়ার খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে তাকে ও তার বাবাকে রাজাকার বলে অপবাদ দিয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো তার বাবা আব্দুর রশিদ খান ১৯৫৮ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে মৃত্যুবরণ করেছেন। অথচ সংবাদ সম্মেলনকারী দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম ও তার পিতা মমতাজুর রহমান খান বিভিন্ন অপকর্মের কারনে মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই গ্রেফতার হয়।

পরবর্তীতে পাক বাহিনী কর্তৃক গঠিত থানা শান্তি কমিটির (পিস কমিটি) সভাপতি দুপচাঁচিয়া ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিজার রহমান তালুকদার ও উক্ত সেলিম খানের আত্মীয় ইউপি সদস্য ও থানা শান্তি কমিটির (পিস কমিটি) সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান তরফদারসহ শান্তি কমিটির (পিস কমিটি) সুপারিশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে অর্থাৎ ১৪ আগষ্ট কারাগার থেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি লাভ করে। তারপর ওই বছর ১৩ ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত তারা পিতা-পূত্র বিতর্কিত কর্মকান্ড করে।

একারনে দেশ হানাদার মুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই মিজানুর রহমান খান সেলিম এলাকা থেকে পালিয়ে যায় এবং খুলনায় লেখাপড়া করার সুবাদে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে যুক্ত হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসলে থানা বিএনপির সভাপতি চেয়ারম্যান আক্কাস আলীর অধীনে গঠিত যুব কমপ্লেক্সের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করা কালীন সময়ে ধাপসুলতানগঞ্জ হাটে আদায়কৃত টোলের টাকা আত্মসাৎ করায় তার ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। চোরাচালানের গডফাদার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।

তৎকালীন সময়ে দুপচাঁচিয়া থানায় কর্মরত পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে সেলিমের চোরাচালান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। ৮০ এর দশকে তার বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সারওয়ার আরো বলেন, সে আমাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে উপস্থাপন করেছে। বিষয়টি সম্পূর্ন বানোয়াট। কারন আমার আবেদনের যাচাই-বাছাই এখনও বিধি মোতাবেক প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রকৃত ঘটনা তার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার আবেদনটি যাচাই-বাছাই শেষে যাচাই-বাছাই কমিটি দ্বারা প্রত্যাক্ষিত হয়েছে। অতএব উক্ত মিজানুর রহমান সেলিম খান মুক্তিযোদ্ধা নন। এছাড়া সারওয়ার খানের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠোছে তার সবই মিথ্যাচার। তার নামে অপপ্রচার চালিয়ে সুনাম নষ্ট করেছে বলে দাবী করেন সারওয়ার। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে