ক্ষেতলালে রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় চরম জনদূর্ভোগ
![ক্ষেতলালে রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় চরম জনদূর্ভোগ](./assets/news_images/2020/09/22/CB20092203.jpg)
ঠিকাদারের গাফিলতি ও কতৃপক্ষের অবহেলার কারনে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মাত্র ৫শ মিটার রাস্তা পাকা করনের কাজ প্রায় এক বছর পূর্বে শুরু হলেও বর্তমান বন্ধ থাকায় ওই এলাকার প্রায় ৫ হাজার লোকের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্যাকেজ প্রকল্পের মধ্যে উপজেলার আলমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পাকার মাথা হতে আমিন ফকিরের বাড়ী পর্যন্ত মাত্র ৫শ মিটার রাস্তা পাকা করার জন্য সরকারী ভাবে ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়। সংশ্লিষ্ট এলজিইডি ওই কাজের জন্য দরপত্র আহবান করলে বগুড়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস বি কনসট্রাকশন, ওই রাস্তার কাজ পায়। সে অনুযায়ী ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক অবস্থায় রাস্তায় মাটি কেটে দীর্ঘদিন যাবৎ নাম মাত্র বালু ফেলে রাখে।
এর পর বর্ষা মৌসুম শুরু হলে ওই রাস্তায় বক্্র করে রাখার কারনে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে জন সাধারনের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে। আলমপুর গ্রামের আকবর আলী খাঁ বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য ঠিকাদারের গাফিলতি ও কতৃপক্ষের অবহেলার কারনে যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার ফলে এই এলাকার প্রায় ৫ হাজার লোকের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকি এবং ঠিকাদারের চরম গাফিলতি কারনে এলাকার জন গন এই ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে। দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পূর্ন করার জন্য ওই ঠিকাদারকে বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের দাবী জানান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস বি কনসট্রাকশন এর স্বত্ত্বাধিকারী সাখাওয়াত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ও অতি বৃষ্টির কারনে সময়মত রাস্তার কাজ সম্পূর্ন করা সম্ভব হয়নি। রাস্তা থেকে পানি নেমে গেলে রাস্তার কাজ দ্রুত সমাধা করা হবে।উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, আলমপুর গ্রামে পাকা রাস্তা যথা সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিক বার চিঠি দেয়ার পরও কাজ সম্পূর্ন করেননি। বরং ওই কাজের সময়সীমা বৃদ্ধি করে নিয়েছেন সে সময়ও শেষের দিকে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য আবারও চিঠি দেয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন