প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৬
কাউনিয়ায় ২টি বক্স কালভাটের মুখ বন্ধ জলাবদ্ধাতায় ৪০ একর জমির ফসল নষ্ট দুই শতাধিক পরিবার পানি বন্দি
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
![কাউনিয়ায় ২টি বক্স কালভাটের মুখ বন্ধ
জলাবদ্ধাতায় ৪০ একর জমির ফসল নষ্ট দুই শতাধিক পরিবার পানি বন্দি](./assets/news_images/2020/09/24/CB20092404.jpg)
কাউনিয়ায় বে আইনি ভাবে পানি চলাচলের জন্য রাস্তায় ণির্মিত ২টি বক্স কালভাটের মুখ মাছের খামার করে বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধাতায় ৪০ একর জমির ফসল নষ্ট,২ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। লিখিত অভিযোগে জানাগেছে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের শিবু চওরা গ্রামে প্রভাবশালী ব্যাক্তি মাছের খামার করে পানি যাওয়ার রাস্তায় ২টি বক্স কালভাট বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধাতায় ৪০ একর জমির ফসল নষ্ট, দুই শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে। বিষয়টি সমাধানে গত বছর এলাবাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সরকার কে লিখিত আবেদন করেও কোন সমাধান পায়নি। চলতি বছর অতিবৃষ্টির ফলে আবারও সমস্যা দেখা দিলে মোঃ হাফেজ আলী সহ এলাকার মানুষ বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করে।
এলাকার একটি কুচক্রিমহল বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উল্টা হাফেজ আলী পানি আটকিয়ে রেখেছে বলে প্রচার চালায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মৎস্য খামার করে পানি যাওযার ২টি বক্স কালভাট বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধতায় শতাধিক কৃষকের প্রায় ৪০ একর জমির ধান নষ্ট হয়েগেছে। দুই শতাধিক বাড়িতে পানি উঠে জলাবদ্ধ হয়ে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে তারা। এর ফলে একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে অন্য দিকে জলাবদ্ধ বাড়ি ঘরের লোকজনের দেখা দিচ্ছে নানা পানিবাহিত রোগ। এব্যাপারে কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন জানান, শিবু চওড়া পাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরশন করতে হলে ৬শ ফিট ড্রেন ণির্মান করা প্রয়োজন, বিষয়টি আমি উপজেলা পরিষদ মিটিংএ সমাধানের জন্য আবেদন জানাব। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান শুধু শিবু চওড়া পাড়া নয় কাউনিয়ায় বেশ কিছু এলাকায় মাছের থামার ও বক্স কালভাটের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধতায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এগুলো সমাধানে সমন্বিত উৎদ্বোগ প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকাবাসী দ্রুত তদন্তকরে জলাবন্ধতা নিরোশনের দাবী জানিয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন