প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:২০

সাঘাটার শিক্ষক আজগর আলী অবসর নেওয়ার ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও রহস্য জনক কারণে অবসর ভাতা পাচ্ছে না

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
সাঘাটার শিক্ষক আজগর আলী অবসর নেওয়ার ১৫ বছর
অতিবাহিত হলেও রহস্য জনক কারণে অবসর ভাতা পাচ্ছে না

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডিমলা পদুমশহর (ডি.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আজগর আলী সরকার অবসর নেওয়ার ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি চাকুরীর অবসরের টাকা পান নি। ফলে তার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ব্যাপারে একাধিক বার আবেদন সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও অদ্যবধি রহস্যজনক কারণে এর কোন প্রতিকার মিলছে না। 

জানাগেছে, উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের ডিমলা পদুমশহর (ডি.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের আজগর আলী সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করে আসছিল। চাকুরী করাকালীন যে বেতন ভাতা পেত তা দিয়ে তাঁর পরিবারের ১০জন সদস্য নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতীপাত করে আসছিল। অবসর গ্রহণের পর থেকে অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য আজগর আলী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান সহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছে। কিন্তু তার অবসরের টাকার কোন হাদিস পাচ্ছে না। আজগর আলী গত ১২/০১/২০০৫ইং তারিখে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। গত ০৮/০৯/২০০৫ইং তারিখে অবসর ভাতা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল করেন।

যার ফাইল নং- ৬৮৬৭ ও ইনডেক্স নং- ৩০৯৮৪৭। গত ২০/১০/২০০৬ইং তারিখে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ২শ’ ৮৭ টাকা অবসর ভাতা পাওয়ার লক্ষ্যে সদস্য সচিব, বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডে আবারও আবেদন করেন। কিন্তু রহস্য জনক কারণে অদ্যবধি তার অবসর ভাতা পায় নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীনুর ইসলাম জানান, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক আজগর আলী’র অবসর ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিদ্যালয় কোড/দিনাঃ ৬০৩৭, শি, ম ৮৭০৬০৪১৩০২, স্মারক নং- ডি, পি, এস/২০২০/১৩(২) এ গত ০৬/০৯/২০২০ইং তারিখে আবারও তাঁর অবসর ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রত্যয়ন পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। শিক্ষক আজগর আলী জানান, ঢাকা নীলক্ষেত ব্যান বেইজ অফিস সূত্রে জানতে পারি ২০/১০/২০০৬ইং তারিখে আমার অবসর ভাতার টাকার চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি আমার অবসর ভাতার চেকের কোন সঠিক তথ্য মিলছে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী’র সুদৃষ্টি কামনা করেন। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে