শেরপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের প্রতিপাদনে ত্রুটিযুক্ত দলিল রদ!
![শেরপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের প্রতিপাদনে ত্রুটিযুক্ত দলিল রদ!](./assets/news_images/2020/12/06/CB20120602.jpg)
বগুড়ার শেরপুরে “অবৈধ ভাবে জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় দলিলের সাথে সংযুক্ত করা কাগজপত্র ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে নির্দেশিত হয়েছে। দলিল রেজিস্ট্রির সন্ধিক্ষণে অস্থায়ী রেজিস্ট্রিারিং কর্মকর্তার (তৎকালীন) দীর্ঘ সময়ের তীক্ষ্ণ প্রতিপাদনে পরবর্তীতে ওই জাল দলিল রদ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৫নভেম্বর) সন্ধা ৬টায় অফিসের শেষ সময়ে ওই দলিলটি দাখিল করা হয়েছিলো। ১৯০৮ সালের ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইনের ধারা-৫২ক অনুযায়ী ওই দলিল রদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাব-রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, ওই দিন দানপত্র করার জন্য দাখিলকৃত ওই দলিলের খাজনা-খারিজ ছিলো না, তাই পরবর্তীতে খাজনা-খারিজ সম্পন্ন করে পুনরায় দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। দলিলটি দানপত্র করার উদ্দেশ্যে দাখিল করা হয়েছিলো। তবে পরবর্তীতে ওই দলিল আর দাখিল করা হয়নি বলে জানান তিনি। তবে অন্য একটি বিশ^স্ত সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর দানপত্র’র জন্য শেরপুর রেজিস্ট্রারিং অফিসে সর্বশেষ দাখিলকৃত ওই দলিলের সাথে জাল মাঠরেকর্ড সংযুক্ত করা হয়েছিলো।
তবে এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার (তৎকালীন) বলেছেন, জাল করা হলে এই বিষয়গুলো তাৎক্ষণিক বুঝা মুশকিল। তবে বর্তমান সরকার আরএস খতিয়ান সহ অন্যান্য খতিয়ানগুলো এখন ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইড থেকে প্রকৃত মালিকানা যাচাই করার ব্যবস্থা করছে। যাকে বলা হয় ই-রেজিস্ট্রেশন। এতে জাল করলেও তাৎক্ষনিক ধরা পরে যাবে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার মো: গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী অজুফা খাতুন তার নানার চাচার সম্পত্তির অপ্রযোজ্য বা পরিত্যক্ত ওয়ারিস হিসেবে শেরপুর মৌজার ২৭ শতাংশ সম্পত্তির দানপত্র দলিল সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।
উক্ত দানপত্র সম্পত্তির ভুয়া ওয়ারিশের সাথে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই দলিল সৃষ্টির কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
এ বিষয়ে শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এস.এম ফেরদৌস বলেন, সিস্টেম এখন অনেক কড়া। দিন দিন সচেতনতা বাড়ছে আর জালিয়াতি কমছে। শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বর্তমানে অসচ্ছ কোনো দলিল নিবন্ধভুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা কাগজপত্রের কিঞ্চিত ঘাটতি দেখলেই সেই দলিল আটকে দেই। আর গত ২৫ তারিখের দানপত্র দলিলের জন্য দাতা বা গ্রহিতা যদি জাল কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে দাখিল করে থাকে তাহলে আগামীতেও ওই দলিল নিবন্ধভুক্ত হবেনা বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন