বগুড়ার ফতেহ আলী বাজার ফিরলো বাজারে
শর্ত সাপেক্ষে বগুড়া ফতেহ আলী বাজার আবারো আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠ থেকে আগের স্থানেই ফিরলো। শুক্রবার থেকে যে যেখানে দোকান করতো সে সেখানেই দোকান করতে পারবে তবে স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে শর্ত মোতাবেক ৫০ শতাংশ দোকানী তাদের দোকান বা পসরা নিয়ে বসতে পারবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতে ও সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষায় জেলা শহরের ফতেহ আলী বাজার স্থানান্তর করে বসানো হয় শহরের খেলার মাঠ আলতাফুন্নেছা মাঠে। সেই বাজার প্রায় ৪দিন পর আবারো আগের স্থানেই ফিরলো।ফতেহ আলী বাজার বাজারে ফিরলেও। নির্ধারিত দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
এর আগে বুধবার থেকে অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করে কাঁচা পণ্যের ব্যবসায়ীরা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফতেহ আলী বাজারবন্ধই ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাছ, গোস্ত ও সবজি ব্যবসায়ীরা ফতেহ আলী বাজার ও আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠে দোকান বসাননি। জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে জেলা প্রশাসন শহরের মাছ, গোস্ত ও সবজির প্রধান বাজার ফতেহ আলী বাজার, রাজাবাজারের খুচরা বাজার এবং রেললাইনের খুচরা বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী গত ফতেহ আলী বাজার সহ উল্লেখিত বাজার বন্ধ ঘোষণা করে শহরের আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠে বাজার চালু করা হয়।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ফতেহ আলী বাজারে মুদী দোকান খোলা রেখে মাছ, গোস্ত ও কাঁচা বাজার স্থানান্তর করায় তাদেরকে দুই বাজারেই যেতে হচ্ছে। বগুড়ার ব্যবসায়ি নেতা পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, ব্যবসায়িরা খোলা মাঠে ব্যবসা করতে চাইছে না। এনিয়ে প্রশাসনের সাথে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান বসানোর বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন