শুভ্র হত্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে : মেয়র রফিক
![শুভ্র হত্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে : মেয়র রফিক](./assets/news_images/2021/01/23/mayor-rafiq-20210123004632.jpg)
৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এবার তিনি নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি দাবি করেন, তাকে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছেন।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে তার নিজ বাসভবনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিগত দুই মেয়াদে ১০ বছর এ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এর আগে আমি একবার কাউন্সিলর ছিলাম, পরে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করি। এবার মনোনয়নের সময় মামলায় আমি জেলে থাকায় দলীয় মনোনয়ন নৌকা পাইনি। আমাকে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যে কারণে আমি খুবই বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছি। আমি এই হত্যার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। ময়মনসিংহ বিভাগীয় পুলিশ তদন্তে সত্যতা না পাওয়ায় বিধি মোতাবেক উচ্চ আদালত আমাকে জামিন দিয়েছেন।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রচারণায় একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় বহিরাগত কিছু লোকজন আমার প্যানা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে, প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করছেন প্রতিনিয়ত। ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গেলে আমার সমর্থকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমি বর্তমানে আমার জীবন ও পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আপনাদের কাছে উপস্থিত হয়েছি।’
সাংবাদিকদের কাছে সহায়তা কামনা করে মেয়র রফিক আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। আমি যেন সঠিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারি, সেদিকে আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শুভ্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন