ধুনট উপজেলা পরিষদ থেকে জলমহাল ইজারার আবেদনপত্র ছিনতাই !
![ধুনট উপজেলা পরিষদ থেকে জলমহাল
ইজারার আবেদনপত্র ছিনতাই !](./assets/news_images/2021/02/12/bogura.jpg)
বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে জলমহাল ইজারার আবেদনপত্র ও ব্যাংক ড্রাফট ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ধুনট পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিষয়ে মথুরাপুর ইউনিয়নের অলোয়া পীরহাটি মৎস্যজীবি সমবায় লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, মথুরাপুর ইউনিয়নের অলোয়া মৌজার ১৪৩৯ দাগের ৫.৯৫ একর সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত জলাশয় প্রতি তিন বছর পর পর ইজারা দিয়ে আসছে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রতিবছরের ন্যায় বাংলা ১৪২৮ সাল থেকে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত ওই জলমহালটি ইজারার ডাক দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত ইজারার আবেদনপত্র ও বিডি জামাদানের শেষ সময় ছিল। কিন্তু দুপুর পৌনে ২টার দিকে অলোয়া পীরহাটি মৎস্যজীবি সমবায় লিমিটেডের নামে জলমহালের আবেদনপত্র ও ১৮ হাজার টাকার বিডি জামা দেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করেন আনোয়ার হোসেন। কিন্তু টেন্ডার বাক্সে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগেই আনোয়ার হোসেনের হাত থেকে আবেদনপত্র ছিনিয়ে নেয় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন।
এবিষয়ে মৎস্যজীবি আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করতেই ধুনট সদরপাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন আমার হাত থেকে জোর করে জলমহালের আবেদনপত্র ও বিডি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তারা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিতে একটি পক্ষের হয়ে এঘটনা ঘাটিয়েছে। তাই এবিষয়ে জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
তবে এবিষয়ে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সারাদিন ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম গামার সঙ্গে ধুনট উপজেলার বাহিরে ছিলাম। তাই এবিষয়টি আমার জানা নেই।
এবিষয়ে জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, এধরনের কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন