শ্রীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
![শ্রীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে](./assets/news_images/2021/02/12/sripur2-20210212002537.jpg)
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্ল্যান্ট পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় কারখানার প্রায় ২১ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার টেপিরবাড়ী গ্রামের এএসএম কেমিক্যাল লিমিটেডের কারখানার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্ল্যান্টের বিস্ফোরণ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে কারখানার ২০/২২ জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেলেও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হতাহতরা ওই কারখানার শ্রমিক বলে গেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ওই কারখানার সাপ্লাইম্যান মো. টুটুল, সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, অপারেটর আবির হোসেন, রোকনুজ্জামান, কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম। আহত ইসহাক, সুজা উদ্দিন, সিলভেস্টা, আশরাফুল, মনির ও আমিনুলকে উন্নত চিকিৎসার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য হতাহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত অপারেটর আবির হোসেন জানান, বিকেল সাড়ে ৪টায় কারখানার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্ল্যান্টে বিকট শব্দে কিছু একটা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই পুরো প্ল্যান্টজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।
কারখানার প্রধান ফটকের সামনের মুদির দোকানদার মোফাজ্জল হোসেন জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে আশপাশের জমি কেঁপে উঠে। এ সময় আতঙ্কে আশপাশের লোকজন ছুটোছুটি করে। মুহূর্তেই কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে কারখানার আশপাশ। এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সবার মাঝে। একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আশপাশের কারখানা, বসতবাড়ি, দোকানপাটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে লোকজন ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। এসময় কারখানার বাইরেও অনেকেই আহত হয়েছেন।
কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে কারখানায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্ল্যান্টে আগুন লাগে। আহত শ্রমিকদের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ কারখানার পক্ষ থেকে বহন করা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সেখানে প্রথমে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আগুনের ভয়াবহতা বেশি হওয়ায় জয়দেবপুর, টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ভালুকাসহ মোট আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। তবে হতাহতের সংখ্যা ও আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি এ কর্মকর্তা।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন