প্রকাশিত : ৩ মার্চ, ২০২১ ২১:৪৯

বগুড়ায় জামিন জালিয়াতির ৩০ জনের ১৪ জন কারাগারে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় জামিন জালিয়াতির ৩০ জনের ১৪ জন কারাগারে

বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের ৩০ জন জামিন জালিয়াতি করে। জালিয়াতির ঘটনায় উচ্চ আদালত ওই ৩০ জনকে ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশজারি করে। বুধবার বিকেলে ৩০ জনের ১৪ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। কিন্তু আদালত তাদের জামনি না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলা ও আদালত সুত্রে জানা যায়,  গত ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয় নিয়ে দখলের নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মশিউল আলমের চাঁদাবাজি, মারপিট ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের দুজন বিচারকের নাম ব্যবহার করে ভুয়া জামিন নামা তৈরী করে ৩০ জনের জামিন হয়েছে বলে ভুয়া জামিন এর কাগজপ্রতাদি বগুড়া সদর থানায় জমা দেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে তথ্য উপাত্ত জানাকালে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। পরে উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) এর একটি বেঞ্চ ভুয়া জামিন নামায় অভিযুক্ত ৩০জনকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পর বুধবার ৩ মার্চ ৩০ জনের মধ্যে ১৪ জন আসামী জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আসামী ও রাষ্ট্র পক্ষের শুনানী শেষে সকল আসামীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক আসমা মাহমুদ। আদালতের নির্দেশে বুধবার বিকেলেই আসামীদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় কোর্ট পুলিশ।
কারাগারে প্রেরণ করা আসামীরা হলেন, লিটন, মানিক, জাকির, তানভির, গণি, রাসেল মন্ডল, আসাদুজ্জামান, খোকন,  শিপন, আল মামুন, দিপ্ত, রাজিব, হেলাল, রাব্বী। 
উল্লেখ্য, এই মামলার প্রধান আসামী নব নির্বাচিত বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর আমিনুর ইসলাম মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ভুয়া জামিন নিয়ে বগুড়া সদর থানায় দাখিল করলে পরে সেটি ধরা পড়ে। আসামী আমিনুল সহ ১৭ জন আসামী এখনও পলাতক আছেন। আসামীপক্ষে জামিন শুনানী করেন সিনিয়র অ্যাড. আব্দুল মোন্নাফ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সিএসআই প্রদ্যুৎ কুমার।

দৈনিক চাঁদনী বাজার  / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে