প্রকাশিত : ৭ মার্চ, ২০২১ ১০:৩০

ঝড়ের কবলে উড়োজাহাজ, আতঙ্কে দোয়া পড়া শুরু করলেন যাত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক
ঝড়ের কবলে উড়োজাহাজ, আতঙ্কে দোয়া পড়া শুরু করলেন যাত্রীরা

ফাল্গুনের শেষে এসে মৌসুমের প্রথম ঝড়ো হাওয়া বা কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ঢাকা থেকে সিলেটমুখী নভোএয়ারের একটি উড়োজাহাজ।

ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা জানান, ঝড় শুরু হলে উড়োজাহাজটিতে তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হয়। প্রায় ৫ মিনিট ধরে এমন ঝাঁকুনি দিতে থাকে উজোজাহাজটি। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। আতঙ্কে অনেকে চিৎকার শুরু করেন। অনেকে আবার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে উচ্চস্বরে দোয়া দরুদ পড়তে থাকেন।

নভোএয়ারের ওই ফ্লাইটে সিলেটে আসেন সিলেট ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে নভোএয়ারের ফ্লাইটটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পরই শুরু হয় ঝড়। এতে উজোজাহাজটিতে তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হয়।

এনামুল হক বলেন, প্রায় ৫-৭ মিনিট এরকম ঝাঁকুনি ছিল। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ভয়ে যাত্রীরা চিৎকার-চেচামেচি শুরু করেন। অনেকে সৃষ্টিকর্তার নাম নিতে থাকেন।

তবে কোনো বিপদ ছাড়াই ফ্লাইটটি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে ঝাঁকুনি দিচ্ছিল তাতে যেকোনো বিপদ হতে পারত। তবে আল্লাহর রহমতে আমরা রক্ষা পেয়েছি। উড়োজাহাজে এ রকম ঘটনা এটিই আমার জীবনে প্রথম ঘটলো। এমন পরিস্থিতি সত্যিই ভয় লাগার মতো ঘটনা।

আবহাওয়ার পূর্ভাবাস না জেনেই কিভাবে নভোএয়ার ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করল এমন প্রশ্ন রেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একসময়ের জাতীয় দলের সিলেটি এই তারকা ক্রিকেটার।

একই তথ্য জানিয়েছেন ওই ফ্লাইটে থাকা দৈনিক সিলেটের জমিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. খয়রুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, উড়োজাহাজের ঝাঁকুনি দেখে মনে হচ্ছিল এই বুঝি সব শেষ। তবে আল্লাহর রহমতে ফ্লাইটে থাকা কোনো যাত্রীই আহত হননি। কিন্তু তারা সবাই কমবেশি ভয় পয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সিলেটে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেশ কিছু এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। বছরের প্রথম এ দমকা বৃষ্টির সাথে কিছু কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। প্রায় আধাঘণ্টা পর বৃষ্টি থেমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া থাকায় নগরের পূর্ব জিন্দাবাজার, ঘাসিটুলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। বজ্রসহ বৃষ্টির সময় নগরের পূর্ব জিন্দাবাজারে ট্রান্সফরমারে বিকট শব্দ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। একইভাবে বন্দরবাজারসহ বিদ্যুৎ চলে যায় নগরের প্রায় ১০ থেকে ১২টি এলাকায়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার  / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে