রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা
![রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা](./assets/news_images/2021/03/14/cox-pic-20210314144218.jpg)
কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে সালমান শাহ গ্রুপ এবং পুতিয়া গ্রুপের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অপহরণের পর গুলি করে এক যুবককে খুন করেছে প্রতিপক্ষ।
এর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অপরজনকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রোববার (১৪ মার্চ) ভোর ৪টা ও শনিবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হত্যা ও জখমের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন এপিবিএন ১৬ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার মো. তারিকুর রহমান তারিক।
নিহত মোহাম্মদ জুবায়ের (২১) টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের শেড নং-৮৮৫, এমআরসি নং-৩৫৬৫৫ এর বাসিন্দা দিল মোহাম্মদের ছেলে। গুরুতর জখম মো. জলিল ওরফে সুনিয়া (২২) একই ব্লকের শেড নং-৮৬৪/৬, এমআরসি নং-৩১৬৪৪ এর বাসিন্দা শাহ আহমদের ছেলে।
এপিবিএন ১৬ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে সক্রিয় অপরাাধী ছৈয়দ হোছন ওরফে পুতিয়া গ্রুপের সদস্যরা বিবদমান সালমান শাহ গ্রুপের সদস্য সি-ব্লকের শেড নং-৮৮৫, এমআরসি নং-৩৫৬৫৫ এর বাসিন্দা জুবায়েরকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় গুলি করে হত্যার পর ফেলে যায়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে সালমান শাহ গ্রুপের লোকজন প্রতিশোধ নিতে রোববার ভোর ৪টায় একই ব্লকের শেড নং-৮৬৪/৬, এমআরসি নং-৩১৬৪৪ এর বাসিন্দা শাহ আহমদের ছেলে মো. জলিল ওরফে সুনিয়াকে (২২) তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। উপস্থিত লোকজন রক্তাক্ত জলিলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এপিবিএন ১৬ ব্যাটালিয়ন পুলিশের অধিনায়ক এসপি মো. তারিকুল ইসলাম তারিক আরও বলেন, ঘটনার পর ক্যাম্পে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন