প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৮:০০

চৈত্রের খরায় বৃক্ষরোপণ!

অনলাইন ডেস্ক
চৈত্রের খরায় বৃক্ষরোপণ!

চলছে বাংলা মাস চৈত্র। রোদের তাপে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অনেক পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। এ সময় উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রায় সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলতে গুচ্ছ গ্রামে শুরু হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। তবে চৈত্রের খরায় গাছ লাগাতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী।

বুধবার (৩১ মার্চ) উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চারদিন আগে বেশ কিছু ফলজ, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছিল। এর অধিকাংশ চারা রোদে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। আর কিছু কিছু গাছের পাতা শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, এ সময় রোদের প্রচন্ড তাপদাহে মাটি ফেটে চৌচির, পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে, টিউবওয়েলে পানি উঠছে না, সেখানে চারাগুলো বাঁচবে কীভাবে? এছাড়া সবুজ বনায়নের নামে অসময়ে বৃক্ষরোপণ করে সরকারি অর্থ অপচয়ের বিষয়টি হাস্যকর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ হাজার ৪০০ ফলজ, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হচ্ছে।

সদর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামে ২২০ পরিবার, বাগালি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে ৬০ পরিবার ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ১৭০ পরিবারের প্রত্যেকের ঘরের সামনে তিনটি করে চারা রোপণ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছ গ্রামে বসবাসকারীরা বলেন, কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার যে চারা রোপণ করছে সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এতদিন পরে চৈত্রের তীব্র রোদ ও গরমের মধ্যে বালুর ওপর গাছগুলো লাগানোয় বাঁচানো কষ্ট হয়ে যাবে।

জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত বলেন, ‘গাছ লাগানোর কথা ছিল লাগিয়ে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘গাছ লাগানো বরাদ্দ ছিল। আরও আগে গাছ লাগানোর কথা বলেছি। এখন কেন গাছ লাগানো হচ্ছে জানি না। অন্তত একটা মাস পর বৃষ্টির সময় গাছ লাগানো উচিত ছিল। আর গাছ যখনই লাগানো হয় না কেন বেড়া দিয়ে না রাখলে গাছ থাকবে না।’

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে