প্রকাশিত : ১ এপ্রিল, ২০২১ ১২:০৯

সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ, বৃহস্পতিবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত

অনলাইন ডেস্ক
সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ, বৃহস্পতিবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত

করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে ১৮ দফার প্রজ্ঞাপন বিষয়ে সভা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো জাহাঙ্গীর হোসেন।

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা সবাইকে পালন করতে হবে। এছাড়া গত বছরের মতো এবারও পণতীর্থ গঙ্গা স্নান ও শাহ্ আরফিনের ওরস হবে না।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/ রাজনৈতিক/ ধর্মীয়/ অন্যান্য), বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিষিদ্ধ। মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটন/ বিনোদন কেন্দ্র সিনেমা হল/ থিয়েটার হলে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা/ উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা বা আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক না পরলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

করোনায় আক্রান্ত বা লক্ষণ দেখা দিলে ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানাসমূহ ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী, অসুস্থ, বয়স ৫৫ঊর্ধ্বো কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কাজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যেকোনো ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাসমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (বিপিএম), সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে