প্রকাশিত : ৫ এপ্রিল, ২০২১ ১১:২২

প্রিন্স হামজা ষড়যন্ত্র করছিলেন : জর্ডানের উপ-প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্স হামজা ষড়যন্ত্র করছিলেন : জর্ডানের উপ-প্রধানমন্ত্রী

জর্ডানের সাবেক যুবরাজ প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন এক ভিডিও বার্তায় তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এরপর দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আয়মান সাফাদি অভিযোগ করেছেন, প্রিন্স হামজা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স হামজার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে আয়মান সাফাদি বলেন, হামজা ও আরও কয়েকজন বিদেশি একটি দলের সঙ্গে মিলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন।এর আগে প্রিন্স হামজার মা রানি নূর টুইটারে এক পোস্টে বলেন, ‘অসৎ অপপ্রচারের শিকার সবাই ন্যয়বিচার পাবে এবং সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে’ - তিনি এই প্রার্থনাই করছেন।

সাফাদি বলেন, প্রিন্স হামজা সরকারের বিরুদ্ধে উপজাতীয় নেতাদের দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন। এ ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই তদন্ত চলছিল এবং বিষয়টি আদালতে তোলা হবে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, প্রিন্স হামজার স্ত্রী প্রিন্সেস বাসমাকে বিমানে করে জর্ডানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিদেশি নিরাপত্তা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি সংস্থাটির নাম প্রকাশ করেননি।

তিনি জানান, মামলা করার বদলে প্রিন্সকে এসব কর্মকান্ড থেকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা হয়েছিল, তবে তিনি তাতে নেতিবাচক সাড়া দেন। তবে এখনো তার সঙ্গে ‘আলোচনা চলছে’ বলে সাফাদি জানান।

প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দী করার পাশাপাশি মোট ১৬ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে - যার মধ্যে বাদশাহ আবদুল্লাহর একজন উপদেষ্টা এবং রাজপরিবারের একজন সদস্য আছেন।উচ্চপর্যায়ের এসব লোকদের গ্রেফতার করাকে এক ‘তথাকথিত অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সাথে সম্পর্কিত’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি প্রিন্স হামজা কিছু উপজাতীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন - যাদের কাছ থেকে তিনি কিছু সমর্থন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রিন্স অবশ্য কোন রকম অন্যায় করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কোন ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন না।প্রিন্স হামজা তার আইনজীবীর মাধ্যমে বিবিসির কাছে পাঠানো এক ভিডিওতে তার দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অদক্ষতা ও হয়রানির অভিযোগ আনেন।

শনিবার রেকর্ড করা ভিডিওটিতে প্রিন্স হামজা বলেন, জর্ডানের সেনাপ্রধান তাকে জানিয়েছেন যে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না এবং লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। কারণ সরকার ও বাদশাহর সমালোচনা করা হয়েছে এমন কিছু সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্য তিনি নিজে এরকম সমালোচনা করেছেন এমন কোন অভিযোগ প্রিন্সের বিরুদ্ধে আনা হয়নি।

তবে প্রিন্স হামজা বলেন, গত ১৫-২০ বছরে জর্ডানের প্রশাসন যেভাবে ভেঙে পড়েছে, সরকার কাঠামোয় যে অদক্ষতা ও দুর্নীতি দেখা গেছে তার জন্য তিনি দায়ী নন। তিনি বলেন, ‘জনগণ যে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে তার জন্যও আমি দায়ী নই।’তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে গেছে যে কেউ কথা বলতে পারে না, নিগ্রহ-হুমকি-হয়রানি-গ্রেফতার শিকার না হয়ে কেউ কোন মত প্রকাশ করতে পারে না।’

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে