প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল, ২০২১ ২১:১৯

শাজাহনপুরে নয়মাইলে রোড ডিভাইডার যেন “মরণ ফাঁদ”

নিজস্ব প্রতিবেদক
শাজাহনপুরে নয়মাইলে রোড ডিভাইডার যেন “মরণ ফাঁদ”

উল্টো পথ ফাঁকা পেলেই বেপরোয়া গতিতে বন্দর এলাক পার হবার চেষ্টা যেন মরণ ফাঁদে পরিনত করছে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে নয়মাইল রোড ডিভাইডার অংশটুকু। গত এক সপ্তাহে ব্যবধানে উল্টো পথে  আসা গাড়ির ধাক্কায় ৩ জন পথচারীদর  মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত চার বছরে প্রায় ৩০ টি দুর্ঘটনায় ২৫ জনের প্রাণহানি সহ অনেকেই পঙ্গু  হয়েছে। নয়মাইল বাসষ্ট্যান্ডে ডিভাইডার থাকা সত্বেও কিছু বেপরোয়া গাড়ি চালক উভয় পাশ দিয়ে গাড়ি চালায়। এছাড়াও বিগত ২সপ্তাহ যাবৎ বারআঞ্জুল পাচুনিয়া পুকুর থেকে অবৈধভাবে রাতের আধাঁরে মাটিবাহী ট্রাক প্রতিযোগীতা করে উল্টো পথে ইট ভাটায় যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।  

নয়মাইল মারাত্মক দুর্ঘটনা প্রবল হাওয়ায় ৪ বছর আগে রোড ডিভাইডার দেওয়া হলেও  ভাঙ্গা খানাখন্দে রাস্তা ডিভাইডার সঙ্কেত,স্পীড বিকার অভাব ও উল্টো পথ গাড়ি চলানো যেন এখন মরণ ফাঁদ।কিন্তুু  সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা বিষয়টি সমাধানে নির্বিকার বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 
অপরদিকে ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের ৬ লেনে উন্নীতকরণের  কাজ চলমান ফলে প্রায়শই ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। 
স্থানীয় জানায় গত বুধবার রাত সাড়ে দশটায় একটি মাটিবাহী ট্রাক  উল্টো পথে নয়মাইল ডিভাইডার  দিয়ে  যাচ্ছিলেন। এ সময় স্বাভাবিক পথে মোটরসাইকেলে চড়ে আসছিলেন আমরুল ইউনিয়নের আব্দুল খালেক আকন্দ ছেলে আব্দুল আলিম (৩৫)। কিন্তু উল্টো পথে আসা বেপরোয়া ট্রাক হঠাৎ সামনে চলে আসায় মর্মান্তিক  দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাস্তা পারাপারের সময় উল্টো পথে  আসা  গাড়ির ধাক্কায় শাজাহানপুর উপজেলার সোলাইদিঘী গ্রামের আলীমদ্দিন ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৬) ও শেরপুর উপজেলার  আফছার এর ছেলে আমিনুর  (৩০) মারা যায়।
এছাড়াও নামাজের জন্য রাস্তা পারাপারের সময় উল্টো পথে আসা বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ডেন্ট্রিস্ট পলাশ নামের এক ব্যক্তি মৃত্যু সাথে পঞ্জা লড়ছে। 
শেরপুর গাড়িদহ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) একেএম বানিউল আলম এনাম বলেন, ‘উল্টো পথে গাড়ি চালানোর জন্য একদিনেই নয়মাইলে ২৫ টির  অধিক ট্রাফিক আইনে মামলা হয়েছে। আমরা আইন প্রয়োগ করছি। কিন্তু তাতেও আইন অমান্যকারীদের সংখ্যা কমছে না।  চালক ও পথচারীদের মধ্যে যতদিন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও আইন মেনে চলার অভ্যাস তৈরি না হবে, ততদিন এই অবস্থার উন্নতি হবে না।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে