প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৫০

গোবিন্দগঞ্জে হারানো চেকের মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলণ

ষ্টাফ রিপোর্টার
গোবিন্দগঞ্জে হারানো চেকের মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলণ

 গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সোনালী ব্যাংক লিঃ মহিমাগঞ্জ শাখার হারানো চেক ডিজ অনার করে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলণ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার। গত ৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইর গ্রামের মৃত-দেলোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগ কর্মি নুর মোঃ জাকারিয়া ইসলাম। উক্ত সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন তার বড় ভাই মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ। এ সময় তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সোনালী ব্যাংক লিঃ মহিমাগঞ্জ শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং-০০১০১৪৬০৯ চালু আছে। উক্ত হিসাব নম্বরের একটি পাতা যাহার নং-৬২০৩৫০১ গত ০৩-০৭-২০ ইং তারিখ বেলা ১১ টার দিকে বাড়ী থেকে ব্যাংকে আসার পথে অসাবধানতাবশত হারিয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। যাহার জিডি নং-১০১৫, তারিখ-২৪-০৮-২০ ইং। এ ছাড়াও সোনালী ব্যাংক লিঃ মহিমাগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর লেনদেন বন্ধ করার দরখাস্ত দেন ২০-০৮-২০ ইং তারিখে জাকারিয়া ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ওই দিন থেকে এ হিসাব নম্বরে লেনদেন বন্ধ করে দেন। তিনি আরো বলেন, হারিয়ে যাওয়া চেকটি পায় একই ইউনিয়নের কুমিড়া ডাঙ্গা গ্রামের আঃ গফুর আকন্দের ছেলে মের্সাস শাহ আলম ট্রের্ডাসের স্বর্তাধিকারী শাহ আলম আকন্দ। তিনি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সাথে যোগসাজস করে চেকটিতে তাদের ইচ্ছামত এমাউন্ট বসিয়ে ডিজ অনার করে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এ দিকে ওই চেকটি উদ্ধারের জন্য জাকারিয়া গত ১৬-০১-২০ ইং তারিখে শাহ আলম আকন্দকে বিবাদী করে গাইবান্ধা বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটি তদন্ত করার জন্য থানায় প্রেরন করে। থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান মামলাটি তদন্ত পূর্বক আদালতে রির্পোট প্রদানের জন্য এসআই কবির এর অপর দায়িত্ব প্রদান করেন। শাহ আলম আকন্দ এস আই কবিরকে প্রভাবিত করে তদন্ত রির্পোট তার অনকুলে নেয়। সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া ও তার পরিবার দাবী করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও শাহ আলম আকন্দ যোগসাজস করে তাদের ফাঁসানো ও ক্ষতিগ্রস্থ্য করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তারা এ মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সোনালী ব্যাংক লিঃ পরিচালনা বোর্ডের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।   

  দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে