ভোটার তালিকায় ছয় মাসেও ‘জীবিত’ হতে পারেননি তিনি
বরগুনার তালতলীতে জীবিত এক ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভোটার তালিকায় মৃত হওয়ায় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আবু ছালেহ নামে ওই ব্যক্তি। এমনকি ভোট দিতেও পারছেন না তিনি।
ভুক্তভোগী আবু ছালেহ হাওলাদার উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মৃত বাহার আলী হাওলাদারের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম পাশের উপজেলা আমতলীর দায়িত্বে থাকায় তালতলী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। এ কারণে তিনি তালতলী নির্বাচন অফিসে নিয়মিত আসেন না। আবু ছালেহ নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে কয়েকবার ধর্ণা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
আবু ছালেহ বলেন, আমি জানতাম না ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম কর্তন করা হয়েছে। ভোট দিতে গেলে তখন শুনি যে আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেয়া হয়েছে। এরপর নির্বাচন অফিসে গিয়ে ছয় মাস আগে লিখিত আবেদন দিয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন কর্মকর্তা কোনো গুরুত্বই দেননি সেই আবেদনের। ফলে এখন পর্যন্ত সংশোধন হয়নি আমার ভোটার তালিকা। এখনও ভোটার তালিকায় আমাকে মৃত দেখানো হচ্ছে।
এরকম একাধিক ভুক্তভোগী জানান, তালতলী উপজেলায় নির্বাচন কর্মকর্তা নেই। আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে তালতলীতে দায়িত্ব পালন করেন। সপ্তাহে দুদিন তালতলী উপজেলায় অফিস করার কথা থাকলেও কোনো কোনো সময় তিনি মাসেও একদিন আসেন না।
এজন্য নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকা সংশোধন, আইডি কার্ড উত্তোলনসহ বিভিন্ন কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. তারিকুল ইসলামের কাছে জানতে তার সরকারি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, আইডি নম্বর ভুল দেয়ার কারণে অথবা অপারেটরদের ভুলের কারণে এটি হতে পারে। তবে যেহেতু তিনি জীবিত আছেন তিনি সশরীরে অফিসে এসে আবেদন দিলে আবেদনটি আমরা ফরওয়ার্ড করে ঢাকায় পাঠিয়ে দিলে সেখান থেকে অ্যাড করে দেবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলামের নিয়মিত তালতলী না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমতলী উপজেলায় নির্বাচন চলছিল। সেজন্য হয়ত তিনি যেতে পারেননি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন