প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২১ ২০:১৪

বগুড়ায় লক ডাউনের পর এবার বাঁশ ডাউন !

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় লক ডাউনের
পর এবার বাঁশ ডাউন !

বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসের কারণে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে শহরে তেমন কোন লোকসমাগম দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরে সকল মার্কেট, বিপনী বিতান বন্ধ ছিল। কঠোর লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গে শহরের পাড়া মহল্লায় প্রবেশের প্রধান প্রধান সড়কে বাঁশ, লাঠি ও বেরিকেড দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কোনভাবেই পাড়া মহল্লার ভেতরে বাহিরের যানবাহন, রিক্স, অটো রিক্সা, ইজিবাইক প্রবেশ করতে পারবেনা। আবার পাড়া মহল্লার লোকজনও সহজে বের হতে পারবে না।

জানা যায়, বুধবার কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন ছুটি থাকায় শহরে কোন লোকজনই ছিলনা। বৈশাখী ছুটির দিনে শহর ছিল ফাঁকা। তবে বৈশাখী কোন আমেজ ছিল না। ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে রোজা পালন ও ইফতারের ব্যতি ব্যস্ততা। করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লক ডাউনের প্রথমদিনের মত দ্বিতীয় দিনও ব্যস্ততম শহর বগুড়া অনেকটাই অচেনা ছিল। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই লক ডাউন কার্যকরে কঠোর ছিল প্রশাসন। ফলে শহরে যেমন যানবাহন ছিল হাতে গোনা, তেমনি দোকান পাট ছিল বন্ধ। লক ডাউন সফল করতে জেলা প্রশাসন থেকে সকালে ও বিকেলে পৃথকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। জনসাধারণকে অযথা শহরে ঘোরাঘুরি না করে ঘরে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং মাস্ক পড়তে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। করোনা সংক্রমন ঠেকাতে জেলার ফতেহ আলী বাজারের মাছ বাজার স্থানন্তর করে জেলা শহরের নবাববাড়ি সড়কে নেওয়া হয়েছে। এই সড়কেই পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ বাজার বসবে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু সবজির দোকানও বসবে। জেলা শহরে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে বিশেষ টিম কাজ করঝে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে বগুড়া পৌরসভা এলাকায় বাঁশ ও লাঠি দিয়ে জনসাধারণ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া, খান্দার, মালতিনগর, চেলোপাড়া ব্রীজ, উপশহর, ফুলবাড়িসহ পৌর এলাকার বিভিন্নস্থানে বাঁশ দিয়ে ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে। যেন মনে হবে বাঁশ ডাউন শুরু করা হয়েছে। বগুড়া পৌরসভা থেকে বাঁশ, দিয়ে চলাচলে বিধিনিষেধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে লক ডাউন চলাকালে সরকারী সহযোগিতায় ব্যবসায়ীরা দুধ, ডিম ও গোশত বিক্রি করছেন। ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র থেকে দুধ প্রতি লিটার ৫৫ টাকা, ডিম প্রতি হালি (৪টি) ২৮ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা ও সোনালী মুরগী ২২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

 দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে