প্রকাশিত : ৮ মে, ২০২১ ২৩:০৩

বগুড়ায় ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

এইচ আলিম
বগুড়ায় ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের
উপচেপড়া ভিড় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

বারবার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও সে কথা মানা হচ্ছে না বগুড়া নিউ মার্কেটে। ঈদকে সামনে রেখে শুধুমাত্র একটি জীবাণুনাশক টানেল ব্যবহার করে নিউ মার্কেটে চলছে প্রচুর সমাগম। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নিউ মার্কেট, দোকানপাট, বিপনী বিতান খোলা রাখার কথা বলা হলেও সেই নিয়ম অনেকেই মানছেন না। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে বগুড়া শহরে ভিড় বেড়েছে দিগুণ। পা ফেলার জায়গা নেই নিউ মার্কেটে। নতুন ডিজাইনের পোষাক না থাকলেও কিছু বিক্রেতারা নতুন বলেই চালিয়ে দিচ্ছেন।

শনিবার বগুড়ার ঈদ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বগুড়া শহর, শহরতলী ও উপজেলা পর্যায় থেকে ক্রেতা আসছেন ঈদ মার্কেটে। নিউ মার্কেট, রানার প্লাজা, হকার্স মার্কেট, শহরের কাঁঠালতলা মার্কেট, আলতাফ আলী সুপার মার্কেট, জলেশ^রীতলার বিভিন্ন বিপনী বিতানে সাধারণ মানুষের ভিড় বেড়েছে। ঈদের কেনাকাটা করতে নারী, শিশু, পুরুষ, বৃদ্ধ সব বয়সীরাই ভিড় করছে। এ দোকান, সে দোকান দরদাম করে নতুন পোষাক কিনছেন ক্রেতারা। করোনা ভাইরাসের মধ্যে দেখা গেছে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। গায়ে গা লেগে করছেন কেনাকাটা। দুরত্ব নেই। বগুড়া নিউ মাকের্টের ১২ থেকে ১৪টি প্রবেশ পথ থাকার পরেও মাত্র দই-একটি পথে বসানো হয়েছে জীবাণুনাশক (স্প্রে) টানেল। সেটিও দিয়ে চলাচল করছে কম ক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছুই নেই বগুড়ার সকল ঈদ মার্কেটে। একে তো বগুড়া নিউ মার্কেটই ছোট, ফাঁকা জায়গা নেই, শতশত দোকান, কোন স্পেস নেই। প্রচন্ড গরমে ঘেমে কাহিল। গায়ে গা লেগে আছে, ধাক্কা লাগছে, ক্রেতারা ধাক্কা খেয়ে খেয়ে চলাচল করছে। ছোট দোকান তার সামনে দিয়েছে ক্রেতা বসার চেয়ার। চেয়ার দিয়ে চলাচলের রাস্তা আরো সরু করা হয়েছে। 
এদিকে, করোনা ভাইরাসের মধ্যেই ঈদ মার্কেটে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি নানা অজুহাতে কসমেটিক্স, কাটা কাপড়, মেয়েদের গহনা, শিশুদের তৈরী পোষাক থেকে সব কিছুরই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট, পুকুরপাড়, সরাফত মার্কেট, হাকার্স মার্কেটসহ প্রায় সব খানেই দাম বেড়েছে ঈদের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যের। বগুড়া নিউ মার্কেটে দাম বেড়েছে বিভিন্ন ব্রান্ডের পারমিউফ এর উপর। বিভিন্ন কোম্পানীর শ্যাম্পু, মেয়েদের বিভিন্ন ইমিটেশনের গহনা, মেকাপ বক্স, চুড়ি, সাজগোজের প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়েছে দিয়েছে কিছু বিক্রেতারা। শিশুদের তৈরী পোশাকের বাজারেই সবচেয়ে বেশি ভিড়। শিশুদের তৈরী পোশাকের বাজারে দামের কোন বালাই নেই। স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন নিয়ম নেই। হাত ধোয়ার জন্য পানি ও সাবানের ব্যবস্থা নেই। আবার মার্কেট কর্তৃপক্ষও তেমন সজাগও না। সব মিলিয়ে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে মার্কেট এলাকায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। দাম নিয়েও আছে অসুন্তুষ্ঠি।
ক্রেতারা অভিযোগ করে জানান, ঈদ কে সামনে রেখে বিক্রেতারা বেশিরভাগ পেণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ আবার মালামাল আসছে না বলে দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু এই করোনার সময় যার কাছে যা মালামাল আছে তা সে দামেই বিক্রি করবে। দাম বাড়ানোর কোন মানে হয়না। 
বগুড়া নিউ মার্কেট ও সরাফত মার্কেটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানী জানান, কোন পণ্যের মাদ বাড়েনি। মালামাল আসেছ না। সে কারণে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন সবাই দাম বাড়ায়নি। দুই একজন হয়তো বাড়িয়েছে। বেশিরভাড় আগের দমেই বিক্রি হচ্ছে। 
এদিকে, গত দুই দিন হলো জেলা প্রশাসন থেকে কঠোর নির্দেশ দেওয়ায় রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকছে বগুড়া নিউ মার্কেট। মাস্ক ব্যবহারের সংখ্যা বাড়লেও পুরো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকেই। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে