প্রকাশিত : ৯ মে, ২০২১ ১১:০০

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রোববার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আবারো বন্ধ হয়ে গেছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল। এর ফলে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছেন অনেক মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে।

এর আগে শনিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এসময় ঘাটে আটকাপড়া জরুরি মালামাল বোঝাই যানবাহন পারাপার করা হয়।

ভোর সাড়ে ৬টায় সরেজমিন পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে আসা যাত্রীরা বিনাবাধায় ফেরিতে পার হচ্ছেন। তবে সাড়ে ৭টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে আগত যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন। সকাল ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে কয়েকশ যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, নৌমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দিনের বেলা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র একটি ছোট ফেরি দিয়ে লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে।

এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে দেশের সবগুলো ফেরিঘাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজিবি সদর দফতরের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-বাংলাবাজারসহ সকল ফেরিঘাটে দিনের বেলায় সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। শুধুমাত্র রাতের বেলায় পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করতে পারবে বলে জানানো হয়।

এর আগে শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। ফেরিতে ঠাসাঠাসি করে মানুষকে নদী পারাপার হতে দেখা যায়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে