প্রকাশিত : ৮ জুন, ২০২১ ২০:৪৪

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেও স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেও স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতের বালুরঘাটের পূর্বে মালঞ্চা ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশকে শত্রæমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করলেও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তবর্তী রতনপুর গ্রামের আকরাম হোসেন প্রামানিকের (৬৫) কপালে আজও জোটেনি বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি না পেলেও স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই তাকে ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধে সক্রিয় ভুমিকা রাখলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না মেলায় হতাশায় দিন কাটছে এই মুক্তিযোদ্ধার। নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করা এই মুক্তিযোদ্ধা বসবাস করছেন গ্রামের মসজিদের দেওয়া ৫ শতাংশ যায়গায়। সংসার জীবনে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিঁনি।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহ করেও স্বীকৃতি না পাওয়ায় সরকারি ভাবে যাচাই বাচাই র্কাযক্রমের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এই মুক্তিযোদ্ধা। সংবাদ সম্মেলনে তিঁনি বলেন, ভারতের বালুরঘাট এলাকায় পূর্ব মালঞ্চা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বগুড়া সারিয়াকান্দি এলাকার কমান্ডার আহম্মেদ স্যারের কাছে আমার পাশ্ববর্তী দোঘরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সামেদ আলী, সাবেদ আলী ও দুলাল হোসেন সহ এলাকার বেশকিছু মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করে যুদ্ধ করতে করতে দেশে ফিরি আমরা। আজ তাদের নাম সরকারি তালিকায় থাকলেও আমার নাম নেই। তাই সরকারের কাছে আমার অনুরোধ যাচাই বাচাই করে আমাকেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হোক।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সামেদ আলী বলেন, আমরা যখন প্রশিক্ষণ শেষ করে দেশে যুদ্ধ করতে আসি, তখন তাকে প্রশিক্ষণ দিতে দেখেছি। অপর বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেদ আলী বলেন, আমরা কে কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছি তা সবাই বলতে পারবেনা। তবে দেশ স্বাধীনের পর বগুড়া শাহ সুলতান কলেজ মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র জমা দেওয়ার সময় আকরাম হোসেনও ছিল। তিঁনি আরো বলেন, সরকারি ভাবে যখন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই করা হয় তখন সে অন্ধ ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.বরমান হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেই সরকারি ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাচাইয়ের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। নতুর করে সেই তালিকায় কাউকে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে আমার মনে হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে