প্রকাশিত : ১ জুলাই, ২০২১ ২০:৪৫

গাবতলীতে লকডাউনের প্রথমদিনে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৬টি মামলা \ বারো হাজার টাকা জরিমান আদায়

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি
গাবতলীতে লকডাউনের প্রথমদিনে ভ্রাম্যমান আদালতে
 ১৬টি মামলা \ বারো হাজার টাকা জরিমান আদায়

সারাদেশে কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়ার গাবতলীতে কঠোর থেকে কঠোরতম লকডাউন পালিত হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যারাত থেকেই পুলিশ প্রশাসন গাবতলী পৌর সদরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও  দোকান বন্ধ করে দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন গুরুত্ব সহকারে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে কঠোর নজরদারীতে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গাবতলী পৌর সদরসহ উপজেলা সকল দোকান-পাট ও যানবাহন বন্ধ ছিল। শুধু সীমিত আকারে কাচা বাজার এবং ফার্মেসীগুলো খোলা ছিল। লকডাউনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়নি। ইউনিয়ন পর্যায়ে দু’একটি বাজারে কিছু কিছু দোকান খোলা ছিল অল্প সময়ের জন্য। তবে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতি টের পেলে তা আবার বন্ধ করেছে তারা। এদিকে গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট, বাজার ও স্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালতে দোকান খোলা ও মাস্ক না পড়ার অপরাধে ১৬টি মামলার বিপরীতে মোট ১২হাজার টাকা  জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম। ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ মাঠে কঠোর নজরদারী রয়েছেন। এ ব্যাপারে ইউএনও মোছাঃ রওনক জাহান বলেন, সরকারী নির্দেশনা কেউ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে আসবেন না। ৭টি দিন এভাবে চলবে। করোনা থেকে বাঁচতে হলে মানতে হবে লকডাউন। নিজে বাঁচতে এবং পরিবারকে বাঁচাতে থাকতে হবে ঘরে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে