প্রকাশিত : ১ জুলাই, ২০২১ ২০:৫৮

বগুড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামার আগেই বৃষ্টিতে শহর ফাঁকা

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা
মাঠে নামার আগেই বৃষ্টিতে শহর ফাঁকা

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ও ঘোষিত লকডাউনে শৃঙ্খল বজায় রাখতে বগুড়ায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামার আগেই জেলা শহর ফাঁকা হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টির কারনে বগুড়ায় জনগণের চলাচল না থাকায় প্রথম দিনের লকডাউন শতভাগ পাস হয়ে যায়। যদিও শহরজুড়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ বৃষ্টির মধ্যেই টহল জোরদার করেন। বগুড়া জেলা শহরের সাতমাথায় কোন মানুষ দেখা যায়নি। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে বগুড়ায় ছিল ঝুম বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টি দুপুরে এসে থেমে যায়। বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অত্যান্ত জরুরী কাজ ছাড়া মানুষজন দেখা যায়নি। কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও ক্রেতা শুন্য হয়ে ছিল। বৃষ্টির পর দুই একজন ক্রেতা এসেছিল। ক্রেতা না থাকায় বৃহস্পতিবার বড় লেবু বিক্রি হয়েছে ৪ টাকা হালি, সকালে মাছের দাম বেশি চাওয়া হলেও দুপুরের পর মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে যায়। হাড়িভাঙা আম বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি। ২৫ টাকা হালির কলা বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা করে। জৈষ্ঠ্য মাসের বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমে গেছে। বাজারে তেমন কোন ক্রেতাই ছিল না। ওষুধের দোকানেও তোমন কোন ভিড় দেখা যায়নি। তবে মাঝে মাঝে হুইসেল দিয়ে রোগী পরিবহন করেছে এ্যাম্বুলেন্স। টানা বৃষ্টির মধ্যেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। কঠোর টহলের কারণে শহরের সব প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জরুরী বিষয় ছাড়া মানুষের চলাচল একেবারে নেই। মাঝে মাঝে দুই একটি রিক্সা ও যানবাহন চলাচল করছে। বগুড়া নিউ মার্কেটের বিভিন্ন গলির দোকান বন্ধ ছিল। ফতেহ আলী মোড়ে, গালাপট্টি, নবাববাড়ি, সাতমাথা, থানা রোড, বড়গোলা, ফুলবাড়ি, মালতীনগর, কলোনী এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে উল্লেখিত এলাকার পাড়ার ভেতরের দিকে দুই একটি দোকানপাট খোলা ছিল। পাড়া মহল্লার দোকানেই ভিড় করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। 
বগুড়া জেলা প্রশাসনের এনডিসি জিএম রাশেদুল ইসলাম জানান, বগুড়ায় সেনা সদস্যরা ক্যান্টমেন্ট থেকে এসেছেন। বিজিবি আছে ৩ প্লাটুন। বিজিবি সদস্যরা বগুড়া শহরে অবস্থান করবেন। পুলিশ, র‌্যাব, জেলা প্রশাসন থেকে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে ম্যাজিস্ট্রেটগণও উপস্থিত ছিলেন। চলাচলকারিদের বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছে। জরুরী কাজ ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, সকাল থেকে জেলা শহরে টানা বৃষ্টির কারণে মানুষের চলাচল এমনিতেই কমে যায়। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে