প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২১ ১৮:২২

একশ টাকায় সারাদিন

শুভ কুন্ডু, শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
একশ টাকায় সারাদিন

স্যাটকম এগ্রো পার্ক বা সাবেক সাউদিয়া পার্ক সিটি। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় শাহ্বন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া এলাকায় অবস্থিত পার্কটি। বাহির থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে পার্কের ভেতরের পরিবেশ অনেকটাই বিকৃত। ভেতরে দেখার তেমন কিছু না থাকলেও মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে টুকটাক যাওয়া-আসা করতো এই পার্কে। বর্তমানে তাও দেখা যায় না। বর্তমানে পার্কটিতে চলছে উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীদের অসামাজিক কার্যক্রম। জন প্রতি ১’শ টাকায় টিকেট কিনে সারাদিন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সুন্দর এক পরিবেশ তৈরী হয়েছে পার্কটিতে। সেই সাথে দর্শনার্থীদের মানষিক ও শারিরিক হয়রানীর অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে মাঝে-মাঝেই। পার্কের ভেতরে ঝোঁপ-ঝাড়ের মধ্যে প্রেমিক যুগলদের আপত্তিকর দৃশ্য অনেকটাই দৃশ্যমান। এ দৃশ্যে সচেতন বা প্রকৃত চিত্রবিনোদন প্রেমীরা অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তবে ওই পার্কের নিয়োজিত স্থানীয় কর্মচারীদের মদদে প্রকাশ্যে এসব অপকর্ম বা অসামাজিক কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত ঘটে আসলেও অজ্ঞাতকারণে উদাসীন রয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। পার্কটিতে বহিরাগত ছেলে-মেয়েদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে মারধর, ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ সবধরনের অসামাজিক কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

সরেজমিনে, এমন এক ঘটনার বিবৃতি পাওয়া যায় গত শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর আনমানিক ৩টায়। ওই দিন পার্কে ঘুরতে আসা বহিরাগত তরুন-তরুনীকে পার্কের ভিতরের নির্জন স্থানে পেয়ে কয়েকজন বখাটে মিলে মারধর করে ৩ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে পার্ক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শুধু মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিলেও টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, এমন ঘটনা মাঝে-মাঝেই ঘটে এই পার্কে। বহিরাগতদের নিরাপত্তার নূন্যতম ব্যাবস্থা নেই এই পার্কে। এছাড়াও বিগত দিনে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর টিকিটের মাধ্যমে ভেতরে গোপন বৈঠক করার অভিযোগও রয়েছে পার্কটির বিরুদ্ধে।

টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের বিষয়ে সেডকম এগ্রো পার্ক লিমিটেড এর ম্যানেজার মো. মোজ্জাফর আলী বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে পার্কে আশা একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের কাছ থেকে সেডকম এগ্রো পার্কের সিকিউরিটি গার্ডের ভাগীনা নাজিম সহ তার দল-বল মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছিল। পরবর্তিতে আমি মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে দিয়েছি।
এই ধরনের ঘটনায় অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েরা নিজেদের দূর্বলতার কারণে ঘটনাগুলো প্রকাশ না করায় পরবর্তীতে আরো বড় ধরনের ঘটনার আশংকা রয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় পার্ক কতৃপক্ষ মায়া রানী’র সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, পার্কের ভেতরের পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে, যেন সব বয়সের মানুষ পরিবার নিয়ে পার্ক পরিদর্শন করতে পারে। তবে এর পরে আমার স্টাফদের আরো সতর্ক করার চেষ্টা করব। কোনো ভাবেই কোনো অসামাজিক বা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন না ঘটে।

উপরে