প্রকাশিত : ৬ জুলাই, ২০২১ ২২:১২

বগুড়ায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যাক ১৯ জনের মৃত্যু আক্রান্ত ২৩৮

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড
সংখ্যাক ১৯ জনের মৃত্যু আক্রান্ত ২৩৮

বগুড়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে একদিনেই রেকর্ড সংখ্যাক ১৯ জনের মৃত্যু ও ২৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবের পর থেকে বগুড়ায় একদিনে মৃত্যু ও আক্রান্ত সংখ্যা এটায় সবচেয়ে বেশি। এর আগে এত মৃত্যু আক্রান্ত কখনো হয়নি।

বগুড়া জেলার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮জন ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জন নিয়ে মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতদের মধ্যে ২ জন বগুড়ার বাসিন্দা এবং অপর ৬ জন অন্য জেলার বাসিন্দা। 
মঙ্গলবার সকালে অনলাইন ব্রিফিংয়ে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় (৫ জুলাই) ৮১০ নমুনার ফলাফলে নতুন করে ২৩৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৩৮শতাংশ। এদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৮জন। আক্রান্ত ২৩৮ জনের মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলার বাসিন্দা ১৭৭ জন। এছাড়া শেরপুর উপজেলায় ১১, দুপচাঁচিয়ায় ৯, গাবতলীতে ৭, কাহালুতে ৭, সারিয়াকান্দিতে ৬, ধুনটে ৬, আদমদীঘিতে ৭, সোনাতলায় ৩, শাজাহানপুরে ৩ এবং শিবগঞ্জ উপজেলায় ২জন। ঢাকায় পাঠানো ২১৭ নমুনার ফলাফলে ৯৩ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২ টি নমুনায় ৬৬জন, জিন এক্সপার্ট মেশিনে ৪ নমুনায় ৩জন, এন্টিজেন পরীক্ষায় ২৫৯ নমুনায় ৬০ জন এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৮ নমুনায় ১৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে যে ১১ জন মারা গেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর বলা যাবে তাদের করোনায় মৃত্যু হয়েছে কি না।
এই নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হলেন ১৪ হাজার ৯৩১ জন, সুস্থ ১৩ হাজার ৮৩ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৩৭ জনের। 
ডা: মোস্তাফিজার জানান, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ৩জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৩জন, টিএমএসএস হাসপাতালে একজন এবং বাকি একজন শিবগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। করোনায় মৃত ৮জন হলেন- গাইবান্ধা জেলার রেহানা (৯০), নওগাঁর মুসলেমা (৪০) ও আব্দুর রহমান সরকার (৬৩), জয়পুরহাটের মোর্শেদা (৪০), তবিবর (৬৮) ও বাবু (৩৫) এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দুলাল (৮৫) ও আজাহার (৫০)। এদের মধ্যে আজাহার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া একই দিনে তিন হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো ১১জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে শজিমেকে ২জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৮জন এবং বাকি একজন টিএমএসএস হাসপাতালে মারা গেছেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে