প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০২১ ২৩:২৬
দেখার কেউ নেই!

বগুড়ার মুজিবমঞ্চ যেন অনাথ একটি স্থাপনা

সঞ্জু রায়:
বগুড়ার মুজিবমঞ্চ যেন অনাথ একটি স্থাপনা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নয় গোটা বিশ্বের কাছে একটি গর্বিত নাম। তার নামে বগুড়া সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারের সামনে স্থাপন করা হয়েছে মুজিবমঞ্চ। এ মঞ্চটি এখন দিনের বেলায় মাদকাসক্তদের এবং রাতের বেলায় অনৈতিক কাজের একটি স্থানে পরিণত হয়েছে। ছবিটি আজ দুপুরে তোলা । - সাবু ইসলাম ।

বগুড়ার মুজিবমঞ্চ যেন অনাথ একটি স্থাপনা। যখন দেশজুড়ে চলছে মুজিববর্ষের উন্মাদনা তখন বগুড়ার মুজিবমঞ্চ কে দেখলে মনে হবে অভিভাবকহীন শুধুই একটি স্থাপনা। গত কয়েক মাস আগেও এখানে দিনরাত ২৪ ঘন্টা পুলিশের পাহারা থাকতো। এখন এই মঞ্চ হয়েছে দিনের বেলায় মাদকাসক্তদের বিশ্রামের জায়গা এবং রাতের কথা আর নাই বা বললাম।

বগুড়ার গর্ব মুজিবমঞ্চ। সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারের সামনে স্থাপন করা এই মঞ্চে বগুড়ার প্রায় সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের অনুষ্ঠান সাফল্যের সাথে পরিবেশন করেছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে নানা ধরণের অনুষ্ঠানও করা হয়েছে এখানে। করোনার এই দু:সময়ে এই মঞ্চে এখন স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না তার মানে এই নয় যে মুজিবমঞ্চ অবহেলিত হয়ে পরে থাকবে মাসের পর মাস। এখন এই মঞ্চটি দেখার আর কেউ নেই।

এ ব্যাপারে সন্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ সিদ্দিকীর কথা বললে তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে নামে মঞ্চটি সাতমাথায় স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আজ সেটি অবহেলিত তা অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি বলেন আগে এই মঞ্চের পাশে পুলিশি পাহারা থাকলেও এখন আর তা নেই। নেশাগ্রস্থদের আস্তানা, মাদকসেবনসহ বিভিন্ন প্রাণীদের বিশ্রামের স্থান হয়ে উঠেছে এই মঞ্চটি যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে তিনি জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মুজিবমঞ্চের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে তিনি বগুড়া পৌরসভার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও এই মঞ্চে যদি কোন মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের আস্তানা কিংবা অনৈতিক কাজের ঘটনা ঘটে থাকে তা জেলা পুলিশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে জাতির পিতার নামে স্থাপিত এই মঞ্চের মর্যাদা রক্ষায় তিনি সকলকেই সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে