বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখা সোনার বাংলায় একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না

বগুড়ায় সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাট থেকে জামথল পর্যন্ত যমুনা নদী দিয়ে সি-ট্রাক সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যমুনা নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠবে স্যাটেলাইট সিটি। স্যাটেলাইট সিটিতে থাকবে হাসপাতাল বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখা সোনার বাংলায় একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। দেশের অভ্যন্তরে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ গড়ে তোলা হবে। এই অঞ্চলের নদী ভাঙ্গনে নদী ব্যবস্থাপনা কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের জামথলঘাটে নৌ পথে যাত্রী সার্ভিস এর উদ্বোধনকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ এবং বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দী উপজেলার যমুনা নদীর নৌরুটে যাত্রী সার্ভিস (সী-ট্রাক) চালু করা হলো।
বগুড়া-১ আসনের (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা অজম।
বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ তাজুল ইসলাম, বিআইডব্লি¬উটিএর চেয়ারম্যান কমান্ডার গোলাম সাদেক, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডবি¬উটিসি) সী-ট্রাক ‘শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ’ দিয়ে মাদারগঞ্জ এবং সারিয়াকান্দী নৌরুটে এ সার্ভিস চালু করা হলো। এ নৌরুটের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। জামালপুরের মাদারগঞ্জ থেকে বগুড়া সারিয়াকান্দ যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট। সী-ট্রাকটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ২০০ জন। যাত্রী প্রতি ভাড়া ১০০ টাকা। যাত্রী সার্ভিস (সী-ট্রাক) চালুর ফলে উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হলো। বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর জনসাধারণ অতি দ্রুত এবং অল্প খরচে জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ যাতায়াত করতে পারবে। নৌপথটি চালু হয়ে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকাপথের দূরত্ব কমে গেল ৮০ কিলোমিটার।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন