শেরপুরে হিজড়ারাও পিছিয়ে নেই “করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনে

বৈশ্বিক মহামারী করোনার ছোবলে টালমাটাল বাংলাদেশ। এ সংক্রমন থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য বিধি মানতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। সেইসাথে এ ভাইরাসের আক্রমন প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিকরা তৈরী করেছে ভ্যাকসিন বা টিকা। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারও দেশের প্রতিটি নাগরিকদের জন্য টিকা(ভ্যাকসিন) প্রদান কর্মসুচি চালু করেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা এ ভাইরাস হতে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করছেন টিকা। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সমাজের পিছিয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া শ্রেনীর মানুষেরা। ১১ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে শেরপুর ও ধুনট উপজেলার সমাজের অবহেলিত এসব তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া)রা সমবেত হয়ে শেরপুর স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ড এলাকার উত্তম কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রায় ২০০ জন টিকার নিবন্ধন করছে। শুধু তাই নয় টিকা গ্রহনের জন্য মোবাইলের মাধ্যমে ফিরতি (টিকা প্রদানের দিনক্ষণ) ম্যাসেজ প্রাপ্তির অপেক্ষার প্রহর গুনছে সেফালি, শিল্পী, রাজ্জাক, সফিকুল, নাজিম, সোহেল, বৈশাখি, কারিনা, বাতাসি, গোলাপী ও চৈতি হিজড়ারাও।
গতকাল বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান (টিএমএসএস)এর হিজড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়ন প্রকল্পের শেরপুর-ধুনটের দায়িত্বে থাকা প্রোগ্রাম অফিসার মোছা. মোর্শেদা হক মুকুট মনি, টিকার নিবন্ধন ফরম তাদের হাতে তুলে দেন।
এসময় ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের আওতায় থাকা হিজড়াদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা বদ্ধ পরিকর। তাই ওই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের নানামুখি কাজের পথ দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেমনটা তাদের সেলাই কাজের প্রশিক্ষন প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ শিখিয়ে দেয়া এবং তাদের মাঝে দোকান ঘর ও মালামাল কিনে দিয়ে তাদেরকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে তারা সমাজে অবহেলিত না থেকে আর দশজন সাধারণ মানুষের মত বেঁচে থাকতে পারবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন