ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে মার্কেট মালিকের স্থাপনা ভাংচুর ও জবরদখলের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে উত্তরা প্লাজা মার্কেটের চিহ্নিত ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে মার্কেট মালিকের নির্মানাধীন স্থাপনা ভাঙচুর ও জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৮আগষ্ট) রাতে এ ঘটনায় শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উত্তরা প্লাজা মার্কেটের মালিক পক্ষ মো: আপেল মাহমুদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উত্তরা প্লাজা মার্কেটের তৃতীয় তলায় মেসার্স মিতা এক্সক্লুসিভের পাঁচটি ঘর একত্রে একটি গোডাউন ছিলো। ভাড়াটিয়ার জনবল বেশি হওয়ায় তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেখানে তিনটি প্রস্রাবখানা ও দুইটি টয়লেট নির্মান করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মিতা এক্রক্লুসিভ গোডাউন ছেড়ে দিলে নতুন ভাড়াটিয়ার সাথে ঘরগুলোর চুক্তিপত্র করা হয়। নতুন ভাড়াটিয়ার চাহিদা অনুযায়ী সেখানে একটি প্রস্রাবখানা ভেঙে দিয়ে গোডাউন বড়ো করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৮আগষ্ট বিকেলে একই মার্কেটের নিচতলার চুক্তিবদ্ধ ভাড়াটে ব্যবসায়ী যথাক্রমে- মো: ইমরান কামাল, মো: লুৎফর রহমান, শ্রী নিতাই সাহা, শ্রী অসীম কুমার সরকার, মো: নফিজুর রহমান ও মো: মিলন হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০/৫০ জন একত্রে গোডাউনের নবনির্মিত স্থাপনা সহ টয়লেট ও প্রস্রাবখানা ভাঙচুর করেন। এতে অন্তত দের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কেট মালিক আপেল মাহমুদ বলেন, আমার তিন তলার ভাড়াটিয়ার টয়লেট রাখার ব্যাপারে নিচতলার চুক্তিবদ্ধদের হস্তক্ষেপ ও ভাঙচুরে আমি স্তম্ভিত। পরে বুঝলাম, চুক্তিবদ্ধরা সেখানে নিজেদের সমিতির অফিস কক্ষ করার সঙ্কল্পে এই ভাঙচুর করেছেন।
তবে ভাঙচুরের সত্যতা স্বীকার করে বিবাদি মো: ইমরান কামাল বলেন, আমাদের নিচতলার বাথরুম/টয়লেট তিনতলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানকার বাথরুম আমাদের পুরো মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করেন। সেখানকার প্রসাবখানা আমাদের সাথে আলোচনা না করে বন্ধ করায় মার্কেটের সকলের স্বীদ্ধান্তেই এই কাজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন