প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:০৩

বগুড়ায় ক্লিনিক নিয়ে দ্বন্দ্বে শেয়ার মালিককে ইনজেকশন দিয়ে হত্যায় সেবক গ্রেফতার

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় ক্লিনিক নিয়ে দ্বন্দ্বে শেয়ার মালিককে 
ইনজেকশন দিয়ে হত্যায় সেবক গ্রেফতার

বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছায় সাতজনের শেয়ারে গড়ে ওঠা সালমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে শেয়ার মালিক সেলিম হোসেনকে (২৭) খুন করা হলো। এর দুই মাস আগে নিহত সেলিমের ছোট ভাই শাহীন মারা গিয়েছিলে ইনজেকশন পুশ করার পরপরই। পুলিশ দুই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেলার গাবতলী উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সেলিম হোসেনের হাতের ক্যানুলা দিয়ে ওই ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়। 
বগুড়া সদর থানা পুলিশ এ ঘটনায় ইনজকেশন পুশকারি ক্লিনিকের সেবক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর সাদ্দাম হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বাীকার করে।
শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড় ভাই আব্দুস সামাদ।
নিহত সেলিমের বড় ভাই আব্দুস সামাদ সাংবাদিকদের জানান, ৭ জনের পার্টনারে বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা বাজারে ৯ মাস আগে সালমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৭ জনের মধ্যে তাদের পরিবারের ৪ জনের অর্ধেক এবং গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের জিন্নাহ মিয়ার ছেলে সাদ্দামের একারই অর্ধেক শেয়ার ছিল। সাদ্দাম নিজেই ক্লিনিকে সেবক (নার্স) দায়িত্বে এবং সেলিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতেন। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার সময় সেলিম ক্লিনিকে থাকা অবস্থায় অসুস্থ বোধ করলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ সেলিমকে স্যালাইন দিয়ে বেডে শুয়ে রাখা হয়। ভর্তির কিছু পর সেখানে সেবক সাদ্দাম হোসেন গিয়ে সুযোগ বুঝে ইনজেকশন বের করে সেলিমের হাতে লাগানো ক্যানুলা দিয়ে পুশ করে দেয়। এ সময় তিনি জানতে চাইলে তাকে বলা হয় গ্যাসের ইনজেকশন পুশ করেছে। প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে সেলিম হোসেন মারা গেলে সাদ্দাম হোসেনকে সেখানেই আটক করা হয় এবং তার পকেট থেকে ব্যবহৃত চেতনানাশক ইনজেকশনের এ্যাম্পুল উদ্ধার এবং পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আব্দুস সামাদ আরও জানান, গত ৭ জুলাই তার আরেক ছোট ভাই শাহীন আলম (২৪) অসুস্থ বোধ করলে পীরগাছা বাজারে তাদের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্যালাইনের মাধ্যমে ইনজেকশন পুশ করার পর রাতে শাহীন মারা যান। পরে বলা হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। শাহীনের মৃত্যুর ঘটনায় সাদ্দামকে কেউ সন্দেহ করেনি। কিন্তু এবার সাদ্দমের ঘটনা ফাঁস হয়ে গেছে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেলিমকে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত সেলিমের বড় ভাই। গ্রেফতারকৃত সাদ্দামকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে