প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:২৪

সদরের লাহিড়ীপাড়য় মুলা চোরের বিচারকে কেন্দ্র করে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লাঞ্চিত, উভয় পক্ষে আহত ৫, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি

মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
সদরের লাহিড়ীপাড়য় মুলা চোরের বিচারকে কেন্দ্র করে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লাঞ্চিত, উভয় পক্ষে আহত ৫, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি

বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নে মুলা চুরিকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য শালিসে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত, কৃষক সহ উভয় পক্ষের মারপিটে আহত ৫, উভয় পক্ষে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি সরে জমিনে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের রহমতবালা গ্রামে রেজাউল করিমের পুত্র রিপু মিয়া তার জমিতে মুলার চাষ করে ইতিমধ্যে সে মুলা বাজারে দুই হাজার টাকা মণে বিক্রি শুরু করেছে। গত ২৬ সেপ্টেমাবর ২১ ইং রাত অনুমান ১২ টা৩০ মিঃ সে বুঝতে পারে তার জমি হতে কে বা কারা মুলা চুরি করছে। রিপু জমিতে গোপনে গিয়ে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের পুত্র নুর আলমকে হাতে নাতে ধরে ফেলে গ্রামের মাতব্বরদের জানায়। তার পরদিন সকালে সে ঘটনার বিচার ডাকে। সেখানে লাহিড়ীপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আপেল মাহমুদ উপস্থিত থেকে বিচার কাজে অংশ গ্রহন করেন। শালিশে উপস্থিত জনগণ ঘটনা বিস্তারিত জেনে বুঝতে পারে যে নুর আলম মুলা চুরি করেছে। তার স্বাক্ষী অনুযায়ী সাথে কলিমদ্দিনের পুত্র রানা ছিল। শালিশের লোকজন মুলা চুরির বিষয়টি জানতে চাইলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নুর আলম ও রানার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আপেলকে লাঞ্চিত করে। এঘটনায়, শালিশের লোকজন নুর আলম ও রানা কে শাসন করে। এতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের কৃষক রিপু ও সাবেক চেয়ারম্যান সহ পক্ষে ৪/৫ জন আহত হয়। আপেল চেযারম্যান বলেন মুলা চুরির বিষয়টি রহমতবালা গ্রামের লোকজন আমাকে জানিয়ে সুষ্ঠ সমাধানের জন্য গ্রাম্য শালিশে ডেকেছিল। আমি কাউকে মারিনি, বরং চোরের পক্ষের লোকজন আমাকে লাঞ্চিত করেছে। সংবাদ পেয়ে সদর থানার এস আই মোস্তাফিজার রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে