প্রকাশিত : ২ অক্টোবর, ২০২১ ২১:১৫

শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত ॥ সম্পত্তি বেদখলের অভিযোগ

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত ॥ সম্পত্তি বেদখলের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরের প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা মো: ইউসুফ উদ্দিনের কবলাকৃত সম্পত্তি বেদখল দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাচক্রে জবর দখলের আশঙ্কায় ঘটনার ২৫ দিন আগে গত (৫সেপ্টেম্বর) শেরপুর থানায় একটি জিডি (নং-২১০/২০২১) করেছিলেন ভুক্তভোগী ইউসুফ উদ্দিন। এর পর বৃহস্পতিবার (৩০সেপ্টেম্বর) সকালে মদনপুর মৌজার ২৯৬/৭০৫ নং দাগের পাঁচ শতক জায়গা জবর দখল করে প্রাচীর তৈরীর অভিযোগ উঠেছে মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: গোলাম নবী বাদশা ও মো: সবুজ শেখের বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রাচীর নির্মানে বাঁধা দেয়ায় শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুছ উদ্দিন ও তার স্ত্রী।
থানা সুত্রে ও সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর মদনপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ উদ্দিন তার কবলাকৃত সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবৎ রাইস মিল, গোডাউন, বয়লার, বিদ্যুৎ সংযোগ, চিমনী হাউজ প্রতিস্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং তার নামে খাজনা-খারিজ ও রেকর্ড বলবৎ রয়েছে। এমন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ উদ্দিনের শারীরিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে ওই সম্পত্তি জবর দখল করে প্রাচীর নির্মান করে। ওইদিন নির্মান কাজে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে প্রতিপক্ষ। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ এই বিষয়ে ইউসুফ উদ্দিন বিজ্ঞ আদালতেও বিষয়টি অবগত করেছিলেন। বিজ্ঞ আদালত ওই সম্পতির ওপর সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করেন। বিষয়টি থানা পুলিশ অবগত  হয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ওই স্থানে সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে নোটিশ প্রদান করেন। এরপরেও স্থানীয় ক্ষমতার দাপটে বিজ্ঞ আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই স্থানে প্রাচীর নির্মান সম্পন্ন করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী বলেন, আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ শুধু স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছি। তাছাড়া আমার সম্পত্তি বেদখল দিয়েছে এবং অদ্যবধি বিভিন্ন ভয়ভীতি ও খুন-জখমের হুমকীও দিয়ে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী গোলাম নবী বাদশা। আমি আদালত ও পুলিশের কাছে বিচার চাইলেও প্রতিপক্ষরা মানছেনা।
এ বিষয়ে মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: গোলাম নবী বাদশা জানান, আমি কাহারো সম্পত্তি বেদখল দেইনি। আমার পৈত্বিক ও স্বত্বদখলীয় সম্পত্তিতেই প্রাচীর নির্মাণ করেছি। তিনিই উল্টো ঘটনা নিয়ে আদালতে বিচার চায়, এতে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও পরবর্তীতে ওই আদেশ বাতিল করেন। তাছাড়া তাকে কোন হুমকী-ধামকি দেয়া হচ্ছেনা, তিনি মিথ্যা কথা প্রচার করছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়া হয়েছিল। উভয়পক্ষে পরবর্তীতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের শরনাপন্ন হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে