প্রকাশিত : ৫ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৪৭

শাজাহানপুরে মন্দিরের সরকারী বরাদ্দ নিয়ে দুই পক্ষ টানা টানি

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শাজাহানপুরে মন্দিরের সরকারী বরাদ্দ
নিয়ে দুই পক্ষ টানা টানি

বগুড়া শাজাহানপুরের আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সরকারী বরাদ্দ নিয়ে দুই পক্ষের টানাটানি এতে করে মুন্দির নির্মানে বিলম্ব হচ্ছে বলে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক অংশ জানান।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, সুশীল সমাজ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’পক্ষের সাথে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় বৈঠক করেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছেনা এবং মন্দির থেকে বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের।   
সোমবার ৪ অক্টোবর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ, প্রকল্প ঠিকাদার ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলাম্বীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, উপজেলার শাবরুল গ্রামে ৫০-৬০ টি হিন্দু পরিবার রয়েছে। এসব হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য মন্দির নির্মান করতে ধর্ম মন্ত্রনালয় হতে ১০ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। শর্ত দেয়া হয়, কমপক্ষে ৭-৮ শতক জমি মন্দিরের নামে থাকতে হবে। সে লক্ষ্যে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলাম্বীরা ৭ শতক জমি শাবরুল বড় হিন্দুপাড়া দুর্গা মন্দিরের নামে লিখে দিলে প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে। অনুমোদন পেয়ে ঠিকাদার মন্দির নির্মান কাজ করতে গেলে এতে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। ফলে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে  পড়ে আছে। 
এলাকাবাসী জানান, এলাকার প্রায় ৫০-৬০ টি হিন্দু পরিবারের মতামতকে উপেক্ষা করে  কয়েক ঘর মানুষ নির্মান কাজে বাধা প্রদান করছে। এ বিষয়ে সেখানকার নরেন সাহা জানান, এক শতক জমির উপরে একটি পুরনো মন্দির রয়েছে। কাজেই মন্দিরটি এখানে নির্মান করতে বলা হয়েছে। তাদের ধর্মযাজক সুরেশ চন্দ্র গোস্বামী বলেন, এ দাবী অহেতুক ও অগ্রহনযোগ্য। কারন সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেখানে মন্দির নির্মান করতে চায়, সেটা ধর্মেরও নির্দেশ। এদিকে শাবরুল বড় হিন্দুপাড়া দুর্গা মন্দিরের সভাপতি মহেশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, তাদের ওখানে মাত্র ১ শতক জমি রয়েছে। আর মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কমপক্ষে ৭-৮ শতক জমি মন্দিরের নামে না থাকলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবেনা। সে লক্ষ্যে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলাম্বীরা ৭ শতক জমি শাবরুল বড় হিন্দুপাড়া দুর্গা মন্দিরের নামে লিখে দিলে প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে। কাজেই প্রকল্পটি অন্যস্থানে করার সুযোগ নাই। 
এ বিষয়ে স্থানীয় আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, বিষয়টিকে বোধগম্য না করে পুর্ব থেকে গড়ে উঠা পারিবারিক কলহের জের ধরে ৫-৬ টি হিন্দু পরিবার কিছু দুর্বৃত্তদের সহায়তা নিয়ে মন্দির নির্মানে বিরোধিতা করছে। ফলে এলাকার সকল সনাতন ধর্মাবলাম্বীরা ঐ সামান্য গুটি কয়েক লোকের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’পক্ষের সাথে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় বৈঠক করেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় রাণীরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু মাত্র ৫-৬ জন লোকের কারনে পুরো হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রকল্পটি বাধাগ্রস্থ করছে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে