বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বালু উত্তোলনের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এসিল্যান্ডকে অবরুদ্ধ করে তার ড্রাইভারকে মারধরের সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত।

সোমবার বিকেলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও বালু উত্তোলনকারীরা অবস্থা বেগতিক দেখে আগেই যন্ত্রপাতি তুলে নিয়ে সটকে পড়ে।

জানাগেছে, রবিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধুনট থানা ভবনের প্রায় ১ কিলোমিটার দূরবর্তী ধুনট সদর ইউনিয়নের পাকুরিহাটা গ্রামের হলহলিয়া খালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাশ^বর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ করছিল ধুনট সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ও তার লোকজন। 

এদিকে কোন অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় রবিবার সন্ধ্যার দিকে ধুনটের এসিল্যান্ড বরকত উল্লাহ ধুনট থানা পুলিশের তিন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিযানে যান। 

এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ধুনটের এসিল্যান্ড বরকত উল্লাহর নির্দেশনায় তার ড্রাইভার সহ সহকর্মীরা বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করতে থাকেন। সেই সময় বালু উত্তোলনকারীরা এসিল্যান্ড সহ সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এপর্যায়ে এসিল্যান্ডের ড্রাইভারকে মারধরও করে বালু উত্তালনকারীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে এসিল্যাড সহ সবাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এই ঘটনায় সোমবার বিকেলে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে সেখান হাজির হন। কিন্তু সেখানে কাউকে না পাওয়ায় ফিরে আসতে হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে।

স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা জানান, এ্যসিল্যান্ডকে অবরুদ্ধ করে তার ভ্রাইভারকে মারধরের ঘটনার পরপরই মাসুদ চেয়ারম্যানের নিদের্শে দ্রুত ড্রেজার মেশিন তুলে নিয়ে সটকে পড়ে। 

এব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কোন অনুমোদন না নিয়েই সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ রানার নেতৃত্বে সরকারী খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। 
এসময় সংবাদ পেয়ে এসিল্যান্ড ফোর্স নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গেলে সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করে। তাই আবারও সেখানে অভিযান পরিচালা করা হলে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। 

তিনি বলেন, ধুনট উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন