শেরপুরে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষনের অভিযোগে করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার এক মাস অতিবাহিত হলেও আসামীকে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আসামী স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আসামীকে গ্রেফতারে থানা পুলিশ উদাসীন রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অপরদিকে মামলা তুলে নিতে নির্যাতিত ও তার পরিবারকে হুমকী দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিত নারী।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে রিপন আহম্মেদ একজন প্রভাবশালী ও লম্পট। সে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী । রিপন গত ৩ বছর আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে আমাকে বিয়ের করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ জুলাই রিপন আহম্মেদ শহরের ধুনট রোডস্থ তার দুলাভাইয়ের বাসায় কৌশলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে বিয়ে করার কথা বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। তখন আমি রেগে বাসা থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইলে রিপন আমাকে আটকে রেখে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিয়ে করবে না মর্মে নানা ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে আমি তার পরিবারের কাছে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শেরপুর থানায় ওই লম্পট (ধর্ষক) রিপন আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ অনুযায়ী ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করি। এদিকে মামলা দায়েরের ১ মাস অতিবাহিত হলেও এবং ওই ধর্ষক রিপন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও থানা পুলিশ তাকে অজ্ঞাতকারণে গ্রেফতার করছেননা। অপরদিকে ওই ধর্ষক পরিবার ও তার প্রভাবশালী আত্বীয় স্বজনেরা উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছে। এতে মামলা করেও জীবনের নিরাপত্তাহীনতা এবং আইনের সঠিক ও সুষ্ঠ বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। আমি ধর্ষক রিপন আহম্মেদ ও মামলা তুলে নেয়াসহ নানা ভয়ভীতির হুমকীসহ এর সাথে জড়িত মদদতাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতার মা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন