প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:১০

শিবগঞ্জের কৃষকরা লোকসান পুষিয়ে নিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত

সোহেল আক্তার মিঠু শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
শিবগঞ্জের কৃষকরা লোকসান পুষিয়ে 
নিতে  আগাম আলু চাষে ব্যস্ত

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা উত্তর জনপথের শস্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিতি রয়েছে। এই এলাকা সবজি দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। বগুড়া ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে সারা বছর মৌসুমী সবজি বেচাকেনা হয়ে থাকে। এই হাট উত্তরাঞ্চলের  অন্যতম সবজির হাট হিসাবে খ্যাত। এই হাটে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকে। সেই লক্ষ্যে এলাকায় কৃষকরা আগাম  আলু চাষে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। তবে বিগত মৌসুমে আলুর দামে কম থাকায় উৎপাদিত আলু বিক্রয় করে অনেক চাষিকেই লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। সেই লোকসান পুষিয়ে উঠতে আগাম আলু চাষে পুজি বিনিয়োগ করছেন কৃষকরা। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা  হয়েছে।  সে হিসাবে উৎপাদন হবে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার মেঃটন।  আগাম আলু ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে। 
এলাকার কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, এক বিঘায় ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ৩০-৩৫ মণ আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুতেই আগাম আলুর দাম ভালো পাওয়া যায়। প্রতিকেজি আলু ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। সেই হিসাবে প্রতি বিঘায় ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো লাভ আসতে পারে। ডিসেম্বরের শেষ সম্পাহে ক্ষেত থেকে আলু বিক্রয় শুরু হবে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে, তাই ভালো ফলনের আশা তাঁর। মৌসুমী আলুর চাষে বিঘাপ্রতি ফলন ৭০-৯০ মণ আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। সে সময় বাজার দর কেজি প্রতি ১০-১৫ হওয়ায় কৃষকের নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত শঙ্কায় আগাম আলু চাষে আগ্রহী আমরা।   
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলা শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। এই এলাকার জমি অতি উর্বর। এখানকার বেশির ভাগ জমি ৩-৪ ফসলি। তাই কৃষকরা আগাম আলু চাষ করে লাভবান হয়ে থাকে। এলাকার আলু দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আলু উৎপাদিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  এলাকার কৃষকদের সাথে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন। ভরা মৌসুমে আলুর রোগ-বালাই ও ছত্রাক প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে