প্রকাশিত : ৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:৩৯

সুষ্ঠুভাবে কালীপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে বগুড়ায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা

সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান, থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সঞ্জু রায় :
সুষ্ঠুভাবে কালীপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে
বগুড়ায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা

 সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব কালীপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সালাহ্উদ্দিন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে ও সার্বিক পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুম আলী বেগ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: রাগেবুল আহসান রিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ডা: এন.সি বাড়ই, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি দিলীপ কুমার দেব, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, দৈনিক করতোয়ার বার্তা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য শংকর, সাংবাদিক এ এইচ এম আখতারুজ্জামান, সহকারী জেলা কমাড্যান্ট (আনসার ও ভিডিপি) কাওছার জাহান, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ, সাধারণ সম্পাদক সুজিত তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সঞ্জু রায়, জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মোস্তাকিম হোসাইন, র‌্যাব-১২ এর পক্ষে মো: রাজু আহম্মেদ, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট পাপিয়া সুলতানা, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআই এর প্রতিনিধিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 
বৃহস্পতিবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবছরের ন্যায় দীপাবলী উৎসব পালনের নিমিত্তে বেশকিছু সন্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যেগুলো হলো: আন্তরিকতা ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখার মাধ্যমে সকলকেই নিজ অবস্থানে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে, পূজা পরবর্তী দ্রুততম সময়ে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে, ঝুঁকিপূর্ণ মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্থায়ী মন্দিরগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে না পারলে মন্দিরে সার্বক্ষণিক দেখাশোনার লোক রাখতে হবে, সেচ্ছাসেবক টিম গঠন করতে হবে এবং যেকোন সন্দেহজনক পরিস্থিতি নজরে আসলে দ্রুত তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবগত করতে হবে। সভায় কালী পূজা উদযাপনের ক্ষেত্রে পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনাগুলোও তুলে ধরেন বগুড়ার নেতৃবৃন্দরা। তারা বলেন সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে যে গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর প্রয়াস করেছে তাদের প্রতি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এইবছর কোন দীপাবলী উৎসব হবেনা শুধুই ধর্মীয় ভাবাগাম্ভীর্য্যরে মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। 
সভায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষে জানানো হয়, এই বছর বগুড়াতে ২৩১টি মন্ডপে কালীপূজা অনুষ্ঠিত হবে যার মাঝে সদরে হবে ৫২টি যেখানে পোষাকে ও সাদা পোষাকে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। শুধু তাই নয় জেলায় ১’শ ৫০ জন আনসার সদস্য এবং পুরো শহরজুড়ে র‌্যাবের ৩টি টহল দল থাকবে। এছাড়াও জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কালী পূজারস্থল শিবগঞ্জের মধুশ্বরী ও শেরপুরের ভবানীপুর মন্দিরসহ শহর এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। এছাড়াও পুরো জেলাজুড়ে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখবেন মর্মেও জানানো হয় সভায়। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে